বাকেরগঞ্জ প্রতিনিধি: বাকেরগঞ্জ উপজেলার অত্যন্ত অঞ্চল সহ পৌর এলাকা এখন মাদকের নিরাপদ অভয় আশ্রমে পরিণত হয়েছে। অবাধে হাত বাড়ালে মিলছে মাদক জাতীয় মরণশীল বস্তু।
এর ফলে ধ্বংস হচ্ছে পরিবার, হুমকির মুখে পারিবারিক অর্থনীতি ও সামাজিকতা। এখনই এর লাগাম টেনে না ধরতে পারলে ভবিষ্যৎ পরবর্তী প্রজন্ম ধ্বংসের লুলুপ দৃষ্টির থাবায় ধুকে ধুকে নিঃশেষ হয়ে যাবে। প্রতিদিন মাদকের এই মরণ থাবা কোন না কোন ভাবে কেড়ে নিচ্ছে বাবা-মায়ের সুদূরপ্রসারী স্বপ্ন।
বাকেরগঞ্জ উপজেলার ১৪ টি ইউনিয়ন এবং পৌর এলাকার বিভিন্ন অলিগলি ও নদীর পাড়ের ভেড়ি বাঁধ, বাগান কিংবা পার্ক মাদক সেবী ও মাদক আনা নেওয়ার কাজে জড়িত ব্যক্তিদের নিরাপদ রুট। এ উপজেলায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কোন কর্মকর্তা কিংবা অভিযানের সাথে জড়িত কোনো টিমের কার্যকলাপ সচরাচর চোখে পড়ে না। থানা পুলিশ ছিটে ফোটা অভিযান চালালেও তা চোখে পড়ার মতো না।
মাদকের টাকা জোগাড় করার জন্য অনেক তরুণ, কিশোর, যুবক বিভিন্ন অপরাধ মূলক কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত হচ্ছে। প্রতিনিয়ত মাদকাসক্ত ব্যক্তিদের দ্বারা তাদের পরিবার সামাজিকভাবে নিগৃহীত, নিষ্পেষিত হচ্ছে। বাকেরগঞ্জে মাদকের এই ভয়াল থাবার কারণে ইতিমধ্যে অনেকগুলো অপরাধ সংগঠিত হয়েছে।
মাদকের টাকার জন্য গত ২৯ জুলাই মঙ্গলবার বাকেরগঞ্জ পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ডে এক কিশোর তার পিতা – মাতার হাতে নির্মম ভাবে নিহত হয়েছে। মাদক যে ভয়ানক ভাবে বাকেরগঞ্জের তরুণ কিশোর এবং যুবক শ্রেণীদের উপরে ভর করে আছে তার স্পষ্ট প্রমাণ বুঝা যাচ্ছে এই বাবা-ছেলের মারামারিতে।
আগামী প্রজন্মকে মাদকের এই মরণ নেশা থেকে বাঁচাতে এখনই আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা জোরদার সহ পারিবারিক এবং সামাজিক কাউন্সিলিং এর ব্যবস্থা করা প্রয়োজন।
কেননা পারিবারিকভাবে অভিভাবকদের অসচেতনতা সঠিক সময়ে তাদের সন্তানদের কাউন্সিলিং না করা কিশোর কিশোরীদের বিপথগামী করে তোলে। যা পরবর্তীতে পরিবার তথা স্থানীয় সমাজ ব্যবস্থার উপর সামাজিক অবক্ষয়ের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।