তৃণমূলের আয়না মফস্বল সাংবাদিকতা। আলোরমূখ দেখবে কবে ???

1
259

মোঃ রোকনুজ্জামান শরীফ: মফস্বল শব্দটির আভিধানিক অর্থ”শহর বহির্ভূত স্থান”বা”গ্রাম”। এই অর্থে মফস্বলের খবর মানে প্রত্যন্ত অঞ্চল বা গ্রামের খবর কিন্তু বাস্তবে ঢাকার বাইরের শহর গ্রামগঞ্জ জনপদের খবরই মফস্বলের খবর-সুতরাং মফস্বল সাংবাদিকতা বলতে রাজধানী ঢাকার বাইরে বিভিন্ন মাত্রার সাংবাদিকতা বুঝানো হয়।

অন্যভাবে বলতে গেলে—সাধারণত মফস্বল সাংবাদিক বলতে বুঝায় যিনি গ্রাম কেন্দ্রিক হয়ে কোন গণমাধ্যমের/মিডিয়ার প্রতিনিধিত্ব করেন।অর্থাৎ রাজধানী শহরের বাইরের তৃণমূল উৎস অনুসন্ধান করে রিপোর্ট তৈরী করেন যিনি,তিনি গ্রাম্য/মফস্বল সাংবাদিক। মফস্বল সাংবাদিকতা গণমাধ্যমের প্রাণ। মফস্বল সাংবাদিকতার মাধ্যমে কোন বিষয়/ঘটনার বাস্তব তথ্য সহজে পাওয়া যায়।দেশের সাংবাদিকতার বড় একটি অংশ মফস্বল সাংবাদিকরা দখলে রেখেছে।মফস্বল সাংবাদিকতা ছাড়া মিডিয়া জগৎ পূর্নতা পেতে পারে না।

মফস্বল সাংবাদিকের গুরুত্বঃ
মফস্বল সাংবাদিকতা মানে মফস্বলের আয়না। যে আয়নার মাধ্যমে মফস্বলের বাস্তব চিত্র ফুটে উঠে।সাংবাদিকতা জগতে মফস্বল সাংবাদিকতার গুরুত্ব অপরিসীম। মফস্বল সাংবাদিকতা না থাকলে গণমাধ্যমের গুরুত্ব নেতিবাচক পর্যায়ে যেতে বাধ্য। স্থানীয় নানা ইতিবাচক ও নেতিবাচক প্রতিবেদন খুব সহজে মফস্বল সাংবাদিকরা ভালো করে উপস্থাপন করতে পারেন। মফস্বলের সমস্যা,সম্ভাবনা,সফলতা একজন মফস্বল সাংবাদিক তৃণমূল উৎস অনুসন্ধান করে বাস্তব তথ্যে সংবাদ তৈরী করে গণমাধ্যমে পাঠান। সারাদেশের পাঠানো সংবাদ শ্রেণিভেদে সাজিয়ে সকাল বেলা পাঠকের হাতে উপহার দেয় ঝকঝকে একটি সংবাদ পত্র। যা মফস্বল সাংবাদিকতা ছাড়া মোটেই সম্ভব নয়।এমন বহু তথ্য আছে যার অধিকাংশ মফস্বল সাংবাদিকদের মাধ্যমে উঠে আসে। সময়,অর্থ,দূরত্ব বিবেচনায় মফস্বল সাংবাদিকতা অতি সহজে তথ্য খুঁজে নিতে পারে।

যা কোন মিডিয়ার মূল অফিসের কাছে সময় সাপেক্ষ ও ঝুঁকির বিষয়। সাংবাদিকতা চ্যালেঞ্জের পেশা,তার ওপর আবার মফস্বল সাংবাদিকতা। জীবনের ঝুঁকি,হুমকি মামলা-হামলার শিকার হতে হয় যে পেশায় সেটাই হলো সাংবাদিকতা। তবে ঝুঁকি থাকলেও জনস্বার্থে সম্মানজনক পেশা এটা।সাংবাদিকদের সমাজের দর্পণ বা আয়না বলা হয়।

বাংলাদেশের মফস্বল সাংবাদিকতা বিপুল সম্ভাবনার দ্বার উন্মুক্ত করেছে ও করছে। এমন কিছু প্রতিবেদনের জন্য হয়তবা কোন জনপদের অনেক কিছু পরিবর্তন এসেছে যা সকলের জীবনে উপকারের প্রভাব ফেলেছে কিন্তু ভুক্তভোগী বুঝতে পারেন না। বাংলাদেশের বিকেন্দ্রীকরণ কৃত যতগুলো অধিদপ্তর বা অফিস আছে তার সফলতা-ব্যর্থতার তথ্য অনুসন্ধান কিন্তু মফস্বল সাংবাদিকরাই করেছে।কোন জনপদের সম্ভাবনা,উন্নতি,দুর্ভোগ যথাযথ কর্তৃপক্ষকে জানান দিয়ে নজরে আনার মত কাজটি কিন্তু একাধিক বার মফস্বল সাংবাদিকরাই করেছে।

রাজধানী শহরে বসে মুহূর্তের মধ্যে মফস্বলের সংবাদ পেতে হলে মফস্বলের সংবাদ কর্মীর কোন বিকল্প নেই। সে কারণে বর্তমানে অজ পাড়াগাঁ এর এই গুরুত্বপূর্ণ গ্রাম্য সাংবাদিকতা মাধ্যমটি পল্লি সমাজের রূপকের রুপ। গ্রামকে বাদ দিয়ে শহরের কিছুই কল্পনা করা যায় না কারণ শহরের যা কিছু উত্থান তার উৎসমুখ কিন্তু গ্রাম।গ্রাম্য সাংবাদিকতাকে হালকা করে দেখার কোন সুযোগ নেই।

মফস্বল সাংবাদিকের দায়িত্বঃ

মফস্বল জনপদের বহুমুখী খবরা খবর তৃণমূল বস্তুনিষ্ঠ উৎস অনুসন্ধান করে গণমাধ্যমে প্রেরণ করা একজন মফস্বল সাংবাদিক’র দায়িত্বের মধ্যে পরে।দেশ সমাজের কল্যাণের জন্য এ দায়িত্ব পালন নৈতিকতার বহিঃপ্রকাশ মাত্র। একজন মফস্বল সাংবাদিক নিজের খেয়ে বনের মোষ তাড়ান কারণ তিনি মনে করেন দেশের মঙ্গলে মফস্বলের বহুমুখী সমস্যা সম্ভাবনার প্রতিবেদন উপস্থাপন করা তার দায়িত্ব।একটি প্রতিবেদন একটি জনপদের বহুকিছু পরিবর্তন করে দিতে পারে।এমন আশার আলো তৃণমূল পর্যায়ে পৌঁছে দিতেই মফস্বল সাংবাদিক আনন্দ পান।

মফস্বল সাংবাদিকের সীমাবদ্ধতাঃ

সীমাবদ্ধতার কথা বলতে গেলে একজন মফস্বল সাংবাদিক সীমার বাইরে যেতে পারেন না।তাকে গণমাধ্যমের নিয়মকানুন মেনে তথ্যানুসন্ধান পূর্বক বাস্তব চিত্র ফুটিয়ে তুলতে হয়।কিন্তু রাষ্ট্রযন্ত্র নীতিমালার সীমাবদ্ধতায় রাখতে পারেনি। যে কারণে মালিক সম্পাদক থেকে শুরু করে মফস্বল সাংবাদিক পর্যন্ত সকলে সীমাবদ্ধতার জালে জড়ানো নেই, যার জন্য যে যার মত করে চলছেন। তার পরেও নৈতিকতার স্বার্থে অভিজ্ঞতার আলোকে মফস্বল সাংবাদিকতা সীমার বাইরে যায়নি।

মফস্বল সাংবাদিকের নিরাপত্তা ঝুঁকিঃ

সাংবাদিকতা সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ পেশা। এ পেশায় জীবনের নিরাপত্তার ঝুঁকি যেমন আছে,তেমনি আছে অর্থনৈতিক ঝুঁকিও।এ উভয় ঝুঁকি তুলনামূলক ভাবে মফস্বল সাংবাদিকের বেশী। অথচ আর্থিক কোন সুযোগ সুবিধা নেই।দেশ ও জনস্বার্থে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করতে গেলে কায়েমী স্বার্থান্বেষী মহলের রোষানলে পরতে হয়।প্রতিটি রিপোর্টের ক্ষেত্রে প্রতিপক্ষ থাকেই।

আইন শৃঙ্খলা বাহিনী,রাজনৈতিক নেতা,প্রভাবশালী ব্যক্তির বিরুদ্ধে রিপোর্ট করলেই হতে হয় হয়রানির শিকার।মিথ্যা মামলায় আসামি হয়ে যেতে হয় জেলাখানায় অথবা ঘরবাড়ি,পরিবার ছেড়ে মাথায় হুলিয়া নিয়ে পালিয়ে বেড়াতে হয়।পঙ্গুত্ব বরন বা অকালে প্রাণ হারাতে হয়। মামলা হামলাসহ পুলিশ,প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতা,জন প্রতিনিধিদের হাতে জিম্মি হতে হয়।

মফস্বল সাংবাদিকের অন্তরায়ঃ

মফস্বল এলাকায় এমন কিছু সাংবাদিক রয়েছেন যাদের কোন অ্যাকাডেমিক সনদপত্র নেই।এই সব সংবাদ কর্মীরা সাংবাদিকতাকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছেন।সকাল হলে একটি স্মার্টফোন নিয়ে কলা-কচু কাটার মত ঘটনার পিছনে দৌড়ে মিথ্যা সংবাদ ছাপিয়ে অনৈতিক উপার্জনে দিন পাড় করেন।তারা সাংবাদিকতার পরিচয় পত্রটি হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে সারাদিন চষে বেড়ান।

এমন গণমাধ্যম কর্মীদের সকলে তুচ্ছ তাচ্ছিল্যের চোখে দেখেন।স্নাতক বা স্নাতকোত্তর পাশ যারা শখের বসে কিংবা দ্বিতীয় পেশা হিসেবে সাংবাদিকতা করেন, তাদের সংখ্যা নগণ্য। তারাও এই সব সাংবাদিকদের জন্য বিতর্কিত হন।তা ছাড়াও অধিকাংশ সংবাদপত্র কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে বিস্তার অভিযোগ রয়েছে,তারা টাকার বিনিময়ে সাংবাদিকদের আইডি কার্ড ধরিয়ে দিয়ে চষে খাওয়ার পরামর্শ দেন। স্পষ্টত কর্তৃপক্ষ সাংবাদিকদের দুর্নীতিতে লিপ্ত হতে প্ররোচনা দেন।

টাকা নিয়ে একই এলাকায় একাধিক প্রতিনিধি নিয়োগ দিয়ে থাকেন।কর্তৃপক্ষ সাংবাদিকদের কাছে মাসোহারা দাবী করেন।মাসোয়ারা না দিলে পূর্ব নোটিশ ছাড়াই বাদ দিয়ে টাকার বিনিময়ে নতুন প্রতিনিধি নিয়োগ দেন।এরা সাংবাদিকতা পেশাকে কলুষিত করছে,এর মর্যাদা নষ্ট করছে।এ ধরনের সাংবাদিক ও পত্রিকার অসৎ মালিকদের খুঁজে বের করে উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করা উচিৎ।

মফস্বল সাংবাদিকের শিক্ষাগত যোগ্যতা, অভিজ্ঞতাঃ

মফস্বল এলাকায় এমন কতকজন সাংবাদিক রয়েছে যাদের কোন অ্যাকাডেমিক সনদপত্র নেই।ওই সব সাংবাদিকরা সাংবাদিকতাকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেন।তারা সাংবাদিকতার পরিচয় পত্রকে ভাঙ্গিয়ে খান,সারাদিন চষে বেড়ান থানা,উপজেলা,পৌরসভা, রাজনৈতিক নেতা,এমপি, মন্ত্রী,মাদক সম্রাট, চোরাকারবারির বাড়ি। তথ্য মন্ত্রণালয় স্বীকৃত শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকা খুবই জরুরী একজন সাংবাদিকের। কিন্তু মালিক সম্পাদক থেকে মফস্বল সাংবাদিকের অ্যাকাডেমিক যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা কি থাকা দরকার তা নির্ধারণ করা নেই।

অ্যাকাডেমিক যোগ্যতার পাশাপাশি ভালো লেখাপড়া জানা দরকার কমপক্ষে স্নাতক পাশ।কারন পাঠক সংবাদ পত্রের বানান রীতি শব্দচয়ন সাধু চলতি রীতি অনুসরণ করে সে অনুযায়ী ব্যবহার করার চেষ্টা করে।সংবাদপত্র সব সময় একজন শিক্ষকের ভূমিকা পালন করে।যেহেতু শিক্ষকের ভূমিকা পালন করে,সে কারনে সঠিকভাবে সবকিছু উপস্থাপন করা খুবই জরুরী।

শ্রেণীকক্ষে পঠিত বিষয়ের বাইরেও একটি সংবাদ পত্র বহুমুখী শিক্ষামূলক প্রতিবেদন প্রকাশ করে।সে কারণে শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকা খুবই জরুরী।

মফস্বল সাংবাদিকদের পারিশ্রমিকঃ

বেশির ভাগ মফস্বল সাংবাদিকদের যোগ্যতা,অভিজ্ঞতা,মেধা, প্রতিভা যা থাকা দরকার তা কোন অংশে কম নেই অথচ তারা মর্যাদা ও আর্থিক সুযোগ সুবিধা পান না।বাংলাদেশে হাতে গোনা ৪/৫টি জাতীয় দৈনিক পত্রিকা সাংবাদিকদের নগণ্য অংকে বেতন দিয়ে থাকেন।বাকী দৈনিক পত্রিকাগুলো বেতন ভাতা তো দূরের কথা উলটো কার্ড ও আনুষঙ্গিক ফিসহ অন্যান্য কিছু শর্ত দিয়ে টাকা হাতিয়ে নেন।

এমন অনেক দৈনিক সংবাদপত্র আছে যারা তাদের উপজেলা পর্যায়ের সাংবাদিকদের পরিচয়পত্র সরবরাহ করেই সব কাজ আদায় করে নেন।যারা সাংবাদিক হিসেবে কাজ করেন তারা বেতন ভাতা না পেয়ে কিভাবে জীবন জীবিকা নির্বাহ করেন সেটা একটা বড় প্রশ্ন থেকেই যায়।আগেই বলা হয়েছে সাংবাদিকতা করেন অনেকে পেশা হিসেবে।

মফস্বল সাংবাদিকদের আর্থিক অনিশ্চয়তা দূর করার দায়িত্ব সংবাদপত্র কর্তৃপক্ষের যেমন, তেমনি সরকারের অনেক কিছু করার আছে।তাদের ওয়েজ বোর্ড অনুযায়ী বেতন ভাতার ব্যবস্থা করা এবং ওয়েজ বোর্ড যাতে ঠিকমতো বাস্তবায়িত হয় সেদিকে নজর দেওয়া।আর এ কাজটি করতে পারলে দেশ জাতি সমাজের কল্যাণে আসবেই মফস্বল সাংবাদিকরা।

মফস্বল সাংবাদিকের ভবিষ্যৎঃ

মফস্বল সাংবাদিকদের আর্থিক বা সম্মানজনক কোন ভবিষ্যৎ নেই।নেশার টানে অর্থ সময় মেধা ব্যয় করে সারাজীবন অজ পাড়াগাঁ’র তৃণমূলের উৎস অনুসন্ধান করে প্রতিবেদন তৈরী করেন।মফস্বলের একজন গণমাধ্যম কর্মী সারাজীবন থাকেন অবহেলিত।মফস্বলের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উদ্‌ঘাটন করে বিশাল জনগোষ্ঠীর কল্যাণার্থে রাষ্ট্রযন্ত্রকে সজাগ করে দেয়ার মত কাজটি করে দিলেও রাষ্ট্র তাদের জন্য উল্লেখযোগ্য কিছুই করেনি।

মফস্বল সাংবাদিকের প্রতি রাষ্ট্রের করনীয়ঃ

সংবাদ পত্রকে রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।সে কারণে রাষ্ট্রকে সাংবাদিকতার উন্নয়নে নীতিমালা প্রণয়ন করে সকল পর্যায়ের সাংবাদিকদের যোগ্যতা নির্ধারণ খুবই জরুরী।কমপক্ষে স্নাতক পাশ নির্ধারন করে জেলা তথ্য অফিসের অধীনে নিবন্ধনের আওতায় এনে জবাবদিহি পর্যায়ে আনতে হবে।জেলা বা উপজেলায় সাংবাদিকদের সংখ্যা কারো জানা নেই।প্রশাসন এমন কি, যে গনমাধ্যমের প্রতিনিধি,তারাও সংখ্যা জানেন না।

নিবন্ধনের আওতায় আনলে হলুদ সাংবাদিকতার অবসান যেমন হবে,তেমন সাংবাদিকদের মান মর্যাদাও বৃদ্ধি পাবে।আমাদের দেশে সম্পাদক থেকে শুরু করে মফস্বল সাংবাদিক পর্যন্ত কোন শিক্ষাগত যোগ্যতা অভিজ্ঞতা নির্ধারণ করা নেই।রাষ্ট্রযন্ত্রকে আধুনিক রুচিবোধের বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়ে দেশ-বিদেশে সাংবাদিকদের প্রশিক্ষণের আওতায় এনে গনমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে।

একজন ভালো লেখাপড়া জানা অভিজ্ঞতা সম্পন্ন লোক সৃজনশীল চিন্তাভাবনা দিয়ে নতুন কিছু সৃজন করতে পারেন যা অন্য কারো পক্ষে সম্ভব নয়।সংবাদপত্র মানুষিক তৃপ্তির মাধ্যম। তাই এ জগতে স্বচ্ছ লেখাপড়া জানা লোক স্থান পাক সে রকম পদক্ষেপ রাষ্ট্রকে নিতে হবে।

1 মন্তব্য

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে