More

    নেছারাবাদে স্কুল শিক্ষকের দায়েরকৃত চাঁদাবাজি মামলায় উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সহ তিন জন কারাগারে

    অবশ্যই পরুন

    নেছারাবাদ(পিরোজপুর)প্রতিনিধি: নেছারাবাদে স্কুল শিক্ষকের দায়ের করা চাঁদাবাজি মামলায় নেছারাবাদ উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মো.ইমরান খন্দকার সহ তিনজনকে জেল হাজতে পাঠিয়েছে পিরোজপুর আদালত। রবিবার দুপুরে আসামীরা পিরোজপুর আদালতে জামিনের জন্য আবেদন করে কোর্টে উপস্থিত হলে আদালত তাদের জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণ করেন।

    আসামি অপর তিনজনের নাম মো: ইকরাম খন্দকার, শেখ রাহাত হেসেন (রাসেল), মো: মিজান খন্দকার। আসামি চারজনের মধ্য তিনজনই সম্পর্কে বাবা ছেলে। ইমরান খন্দকার এবং ইকরাম খন্দকার চার নম্বর আসামি মিজান খন্দকারের ছেলে। গত ১৮ জুন কুহুদাসকাঠি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো.গোলাম কিবরিয়া বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।

    মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, আসামীরা এলাকার চিহ্নিত চাঁদাবাজ। আসামিদের মধ্য শেখ রাহাত হোসেন রাসেল বিগত আওয়ামী লীগ আমলে উপজেলার সমুদয়কাঠিতে সন্ত্রাসের রাম রাজত্ব করত। ৫ আগস্টের পর উভয় আসামি এলাকায় মাদক ব্যবসাসহ অন্যের জমি দখল ও চাঁদাবাজি করত। মামলার বাদী স্কুল শিক্ষক গোলাম কিবরিয়ার শেহাংগল টেম্পু স্ট্যান্ডে দু’টি দোকান রয়েছে।

    তারা ভুক্তভোগী গোলাম কিবরিয়াকে ভয় দেখিয়ে মোটা অঙ্কের চাঁদা নিত। গত ১৮ এপ্রিল রাতে আসামীরা ওই স্কুল শিক্ষক গোলাম কিবরিয়ার পথরোধ করে পাঁচ লাখ তাকার চাঁদা দাবি করে। তাদের দাবিকৃত ওই চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তারা ওই শিক্ষকের জমির উপরে রোপিত গাছ পালা কেটে জমি দখলের জন্য বেড়া দেয়। বিষয়টি থানা পুলিশকে অবগত করলে জমি দখলে ব্যর্থ হয়।

    পরে ওই শিক্ষক শুক্রবার জুমার নামাজে যাবার পথে তাকে আটকে পকেট থেকে একটি এতিমখানার জন্য রাখা ত্রিশ হাজার টাকা নিয়ে যায়। এসময় তাকে মারধর করে রাস্তা ফেলে ফেলে যায়। মামলার বাদী ওই স্কুল শিক্ষক মো: গোলাম কিবরিয়া বলেন, ইমরান খন্দকার,ইকরাম খন্দকার এবং তাদের পিতা মিজান খন্দকার। তারা এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাস। তার সাথে শেখ রাহাত হোসেন রাসেল নামকরা চাঁদাবাজ।

    তারা আওয়ামী লীগের সময় এলাকায় সন্ত্রাসের রাম রাজত্ব করত। তারা আমাকে হত্যার ভয় দেখিয়ে চাঁদা নিত। তাদের বিরুদ্ধে নেছারাবাদ থানায় চাঁদাবাজি মামলা করেছি। সেই মামলায় আসামীরা হাইকোর্ট থেকে জামিন নিয়েছিল। শনিবার পিরোজপুর নিম্ন আদালতে জামিনের জন্য আবেদন করে হাজির হলে বিজ্ঞ আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাদের তিনজনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন।

    পিরোজপুর জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মো: মাহমুদ হাসান শাহীন বলেন, বিষয়টি যতদূর জানি একটা পারিবারিক বিরোধকে কেন্দ্র করে এই মামলা। এ ক্ষেত্রে ব্যক্তির দায় সংগঠন নিবেনা। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো: আবুল কালাম আকন বলেন, একটি ব্যক্তিগত বিরোধ নিয়ে এই মামলাটি ছিল। আসামীরা জামিনের জন্য আদালতে হাজির হলে বিজ্ঞ আদালত তাদের চারজনের মধ্য তিনজনের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণ করেছেন।

    সম্পর্কিত সংবাদ

    সর্বশেষ সংবাদ

    পুরো জাতি প্রস্তুত, ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচন: প্রেস সচিব

    অনলাইন ডেস্ক: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, ‘নির্বাচনের জন্য পুরো জাতি প্রস্তুত। নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সব প্রতিষ্ঠানও কাজ করতে...