More

    চবিতে ফের শিক্ষার্থী-স্থানীয়দের সংঘর্ষ, সহ-উপাচার্যসহ আহত ২০

    অবশ্যই পরুন

    চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের মধ্যে আবারও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। রোববার দুপুর ১২টার কিছু পর বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ নম্বর গেটসংলগ্ন জোবরা গ্রামে এ সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মো. কামাল উদ্দিনসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। সকালে থেকেই দুইপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল।

    বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এক প্রান্তে কয়েকশ শিক্ষার্থী এবং অন্য প্রান্তে স্থানীয় লোকজন অবস্থান নেন। এসময় দুই পক্ষই পাল্টাপাল্টি স্লোগান দেয়। ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান, সহ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মো. কামাল উদ্দিন ও প্রক্টর তানভীর মোহাম্মদ হায়দার আরিফ দুই পক্ষকে শান্ত করার চেষ্টা করলেও তারা ব্যর্থ হন। কিছুক্ষণ পর শুরু হয় পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ।

    এতে রক্তাক্ত অবস্থায় অন্তত ১০ শিক্ষার্থীকে ক্যাম্পাসের ভেতরে নিয়ে যাওয়া হয়। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মো. কামাল উদ্দিনসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। ২ নম্বর গেট এলাকার একটি ভিডিও ফুটেজে রামদা হাতে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করতে দেখা গেছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। শিক্ষার্থীদের হাতেও দেখা গেছে হকিস্টিক। ঘটনাস্থলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাউকে দেখা যায়নি। রাতে সেনাবাহিনী আসলেও দুপুরে তারা ঘটনাস্থলে ছিলেন না বলে জানায় প্রত্যক্ষদর্শীরা।

    সংঘর্ষ শুরু হওয়ার আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মো. কামাল উদ্দিন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের এতগুলো শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। স্থানীয় সন্ত্রাসীরা প্রক্টর ও পুলিশের তিনটি যানবাহন ভেঙেছে। এ বিষয়ে অবশ্যই পদক্ষেপ নেওয়া হবে। শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ নম্বর গেটের কাছে এক ছাত্রী একটি ভবনে ভাড়া থাকেন। গতকাল দিবাগত রাত ১২টার দিকে তিনি ওই ভবনে প্রবেশের চেষ্টা করলে দারোয়ানের সঙ্গে তাঁর তর্ক হয়।

    একপর্যায়ে ভবনের দারোয়ান তাকে মারধর করেন। এ সময় ২ নম্বর গেটে থাকা শিক্ষার্থীরা দারোয়ানকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে গেলে তিনি পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। পরে শিক্ষার্থীরা তাকে ধাওয়া করলে স্থানীয় লোকজন শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করেন। তখন সংঘর্ষ ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এরপর স্থানীয় লোকজন মাইকে ডেকে লোক জড়ো করে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করেন। তবে স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, তুচ্ছ ঘটনা কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীরা হামলা চালিয়েছেন।

    ভাঙচুর করা হয়েছে ঘরবাড়ি। এর আগে গতকাল রাত সোয়া ১২টা থেকে আজ রোববার ভোর ৪টা পর্যন্ত বিদ্যালয়ের ২ নম্বর গেট এলাকায় স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে অন্তত ৭০ শিক্ষার্থী আহত হন। পরে রাত সাড়ে তিনটার দিকে সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে গেলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।

    ঘটনার সূত্রপাত

    প্রত্যক্ষদর্শীদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ নম্বর গেটে এক ছাত্রী তার কক্ষে যেতে দেরি হওয়ায় দারোয়ানের সঙ্গে কথা কাটাকাটির ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে দারোয়ান কয়েকজনকে ডেকে এনে ওই শিক্ষার্থীর ওপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনার প্রতিবাদ জানাতে পরে কয়েকজন শিক্ষার্থী একত্রিত হয়ে দারোয়ানকে ধরতে ঘটনাস্থলে গেলে উত্তাপ ছড়িয়ে পড়ে। এসময় উভয়পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। ইটপাটকেল নিক্ষেপে আহত হয় অন্তত ১০ জন।

    ভুক্তভোগী ছাত্রী বলেন, ‘আমি প্রতিদিন সময় মতো বাসায় আসি। আজকেও দেরি করিনি। ১২টার মধ্যে চলে আসি। দারোয়ানকে দরজা খুলতে বলি। তবে তিনি দরজা খুলে রাজি হচ্ছিলেন না। পরে জোরে ডাক দিলে তিনি অকথ্য ভাষায় কথা বলেন। আমি জবাব দিতে গেলে হঠাৎ আমার গলায় চড় মারেন। সঙ্গে সঙ্গে আমার রুমমেটরা নামলে তিনি আমাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেন এবং লাথি মারতে থাকেন। আমি আত্মরক্ষার চেষ্টা করলে আমার রুমমেট ও আশপাশের স্থানীয়রা এগিয়ে আসেন।’

    সম্পর্কিত সংবাদ

    সর্বশেষ সংবাদ

    আজ রাতে টাইগারদের লঙ্কা পরীক্ষা

    এশিয়া কাপে হংকংয়ের বিপক্ষে সহজ জয় দিয়ে যাত্রা শুরু করেছে বাংলাদেশ। তবে আসল পরীক্ষা আজ রাতেই। প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা-এশিয়ার অন্যতম...