কলাপাড়া প্রতিনিধি: বাংলাভিশন টেলিভিশনের কলাপাড়া উপজেলা প্রতিনিধি, কুয়াকাটা প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারন সম্পাদক ও কুয়াকাটা পৌর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম মিরণকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা চেষ্টা মামলার অন্যতম হোতা সন্ত্রাসী ইলিয়াস হোসেন মিলুকে (৪৩) ডিবি পুলিশ গ্রেফতার করেছে।
রোববার দিবাগত মধ্যরাতে রাঙ্গাবালী উপজেলার বড়বাইশদিয়া ইউনিয়ন থেকে পটুয়াখালীর ডিবি পুলিশ গ্রেফতার করে। ইলিয়াস হোসেন মিলু কুয়াকাটার মাদক কারবারিদের নিয়ন্ত্রক ও একটি হত্যা মামলার আসামি বলে জানা গেছে। গ্রেফতার ইলিয়াস কুয়াকাটা পৌরসভার সাবেক মেয়র আওয়ামী লীগ নেতা আনোয়ার হাওলাদারের বড় ভাইয়ের ছেলে। তার বাবার নাম মৃত শানু হাওলাদার।
কুয়াকাটা পৌরসভার হুইচ্যানপাড়া গ্রামে তার বাড়ি। পটুয়াখালীর ডিবি পুলিশের এসআই জহুরুল ইসলাম এখবর নিশ্চিত করেন। গ্রেফতার ইলিয়াসকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে এ কর্মকর্তা জানান।
এর আগে ইলিয়াসের ছেলে রাজনকে পুলিশ গ্রেফতার করে তার জবানবন্দি নেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, মিরন এ বছরের ৪ ফেরুয়ারি, মঙ্গলবার মধ্য রাতে ঢাকা থেকে কুয়াকাটায় পৌছে গাড়ি থেকে নেমে বাসায় ফিরছিলেন। বাসায় ঢোকার আগমুহূর্তে সশস্ত্র দুর্বৃত্তরা এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। মিরন ডাক—চিৎকার করে লুটিয়ে পড়েন। পরিবারের সদস্যসহ আশপাশের লোকজন দ্রুত তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
মিরনের এক হাতের রগ কেটে দেওয়া হয়। অন্য হাতের কব্জি বরাবর ঝুলিয়ে দেয়। এছাড়া কপালে, মাথায়, পেটে হাতেসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে অসংখ্য কোপানো হয়। এ ঘটনায় অজ্ঞাতনামা আসামি করে ১৩ ফেরুয়ারি মহিপুর থানায় একটি মামলা করা হয়।
স্থানীয়রা জানান, এই চক্র পরিকল্পিতভাবে হত্যার জন্য মিরনের ওপর সশস্ত্রভাবে নৃশংস ওই হামলা চালায়। এঘটনায় গণমাধ্যম কর্মীসহ রাজনৈতিক অঙ্গনে এ ঘটনার প্রতিবাদে মানববন্ধনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়। অন্যতম হোতা ইলিয়াস গ্রেফতার হওয়ায় মিরনের পরিবারে কিছুটা হলেও স্বস্তি নেমে এসেছে।