ডাকসু নির্বাচনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্রে নিজের ভোট দিয়েছেন প্রতিরোধ পর্ষদের সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদপ্রার্থী মেঘমল্লার বসু। মঙ্গলবার (০৯ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার দিকে তিনি হুইলচেয়ারে করে একজন সহযোগীর সহযোগিতায় কেন্দ্রে প্রবেশ করেন।
ভোট দেয়া শেষে কেন্দ্রের সামনে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন মেঘমল্লার বসু। এটা তার জীবনে দেয়া প্রথম ভোট জানিয়ে তিনি বলেন, জীবনে প্রথম ভোট দিতে পেরে অসাধারণ লাগছে। গত ডাকসু নির্বাচনে ৬ ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকেও লাইন জ্যামিংয়ের কারণে আমি ভোট দিতে পারিনি। আর এবার এসেই আমি ভোট দিতে পেরেছি। এই ভোট দিতে পারাটাই জুলাই অভ্যুত্থানের বড় পাওয়া।
এ সময় শিক্ষার্থীদেরে ভোট কেন্দ্রে আসার অনুরোধ জানিয়ে মেঘমল্লার বসু বলেন, যাকে খুশি তাকে ভোট দেন, কিন্তু ভোট দিতে আসেন প্লিজ।
উল্লেখ্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৯ হাজার ৭৭৫ জন ভোটার ডাকসুর ২৮টি পদে ৪৭১ জন প্রার্থীর মধ্য থেকে নতুন নেতৃত্ব নির্বাচিত করবেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮টি কেন্দ্রে মোট ৮১০টি বুথে ভোটগ্রহণ চলছে। সকাল থেকে প্রায় সব কেন্দ্রেই শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। ভোট দিতে আসা শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, ভিড় এড়াতে এবং দ্রুত ভোট সম্পন্ন করতে তারা সকাল সকাল কেন্দ্রে এসেছেন।
সকাল ৭টার দিকে প্রতিটি কেন্দ্রে ব্যালট বাক্স পৌঁছে দেয়া হয় এবং সাংবাদিক ও পোলিং এজেন্টদের উপস্থিতিতে তা উন্মুক্ত করা হয়।
এবার প্রথমবারের মতো হলের বাইরে ৮টি কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হবে ভোট। শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর ভোটগ্রহণ নিশ্চিতে সব ধরণের প্রস্তুতি নিয়েছে ঢাবি কর্তৃপক্ষ। সব কেন্দ্রের নিরাপত্তা পরিস্থিতি খুবই স্বাভাবিক এবং বিঘ্নিত হবার কোনো ধরনের আশঙ্কা নেই বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। শিক্ষার্থীদের নির্বিঘ্নে ভোট দিতে আসার আহ্বান জানিয়েছেন ঢাবি উপাচার্যও। নির্বাচকে কেন্দ্র করে ক্যাম্পাস এলাকায় মোতায়েন থাকবে দুই হাজারেরও বেশি পুলিশ সদস্য।
ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনে একজন ভোটারকে মোট ৪১টি ভোট দিতে হবে। এর মধ্যে কেন্দ্রীয় সংসদে ২৮টি ও হল সংসদে ১৩ পদে ভোট দেবেন শিক্ষার্থীরা।