More

    সংগীতশিল্পী ফরিদা পারভীন আর নেই

    অবশ্যই পরুন

    একুশে পদকপ্রাপ্ত সংগীতশিল্পী ফরিদা পারভীন আর নেই। আজ শনিবার রাত ১০টা ১৫ মিনিটে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তিনি স্বামী এবং ৪ সন্তান রেখে গেছেন। তার বয়স হয়েছিল ৭৩ বছর।

    ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বস্থাপনা পরিচালক আশীষ কুমার চক্রবর্তী ফরিদা পারভীনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। দীর্ঘদিন ধরে নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন ফরিদা পারভীন। ফুসফুসের সমস্যা ছাড়াও ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, কিডনি ও থাইরয়েড জটিলতা ছিল তার। বেশ কিছুদিন ধরে তাকে সপ্তাহে দুই দিন ডায়ালাইসিস করাতে হতো।

    নিয়মিত ডায়ালাইসিসের অংশ হিসেবে গত ২ সেপ্টেম্বর মহাখালীর ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয় তাকে। কিন্তু ডায়ালাইসিসের পর তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় চিকিৎসক তাকে হাসপাতালে ভর্তি করানোর পরামর্শ দেন।

    এর পর থেকে তিনি হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন। গত বুধবার অবস্থার অবনতি হলে তাকে ভেন্টিলেশনে রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ফরিদা পারভীনের জন্ম ১৯৫৪ সালে ৩১ ডিসেম্বর নাটোরের সিংড়া থানায়। ১৯৬৮ সালে রাজশাহী বেতারের তালিকাভুক্ত শিল্পী হিসেবে নজরুলসংগীত গাইতে শুরু করেন তিনি। ১৯৭৩ সালের দিকে দেশাত্মবোধক গান গেয়ে জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। সাধক মোকসেদ আলী শাহর কাছে ফরিদা পারভীন লালনসংগীতে তালিম নেন।

    ফরিদা পারভীন ১৯৮৭ সালে সংগীতাঙ্গনে বিশেষ অবদানের জন্য একুশে পদক পান। এছাড়া ২০০৮ সালে তিনি জাপান সরকারের পক্ষ থেকে ‘ফুকুওয়াকা এশিয়ান কালচার’ পুরস্কারও পেয়েছেন।

    সেরা প্লেব্যাক গায়িকা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও পেয়েছেন ১৯৯৩ সালে। শিশুদের লালনসংগীত শিক্ষার জন্য ‘অচিন পাখি স্কুল’ নামে একটি গানের স্কুল গড়ে তুলেছেন ফরিদা পারভীন।

    সম্পর্কিত সংবাদ

    সর্বশেষ সংবাদ

    বরগুনায় নতুন করে ডেঙ্গু আক্রান্ত ৫৮

    অনলাইন ডেস্ক: বরগুনায় নতুন করে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে আরও ৫৮ জন। এ নিয়ে জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৬ হাজার...