আল্লামা সাঈদী দুর্নীতিবাজ ছিলেন না তার সন্তানেরাও দুর্নীতিবাজ নয়: মাসুদ সাঈদী পিরোজপুর-১ আসনের বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী, আল্লামা সাঈদীর পুত্র, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান জননেতা মাসুদ সাঈদী বলেছেন, ১৯৭১ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে যতগুলো দল রাষ্ট্রক্ষমতায় এসেছিল অধিকাংশ রাষ্ট্রপ্রধান ও তাদের দোসররা নিজেদের স্বার্থ হাসিলের জন্য ক্ষমতার অপব্যবহার করে নিজেদের পকেট ভারি করেছে, দেশকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিয়েছে, জনগণের টাকা মেরে দেশে-বিদেশে সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেছে।
কিন্তু বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী দল যখন যে পর্যায়ের দায়িত্ব পালন করেছেন, কোথাও কোনো দুর্নীতি করেননি, ক্ষমতার অপব্যবহার করেননি, যার প্রমাণ কেউ দিতে পারবেন না। আমার পিতা আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী পিরোজপুর-১ আসনে ১০ বছর সংসদ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন, আমি উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে ৫ বছর দায়িত্ব পালন করেছিলাম। আমার পিতা আল্লামা সাঈদী দুর্নীতিবাজ ছিলেন না, তার সন্তানেরাও দুর্নীতিবাজ নয়।
সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৩টায় ইন্দুরকানী উপজেলাধীন সদর ইউনিয়ন যুব বিভাগের উদ্যোগে ঘোষেরহাট বাজারে যুব সমাবেশ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জামায়াতে ইসলামকে রাজাকার বলার ব্যাপারে তিনি বলেন, “আওয়ামী ফ্যাসিবাদী হাসিনা ও তার দোসররা বিভিন্ন সমাবেশে কথায় কথায় জামায়াতকে রাজাকার বলে গালি দিত। তাদের দেখাদেখি বিএনপি ও অন্যান্য দলের নেতারাও জামায়াতকে কথায় কথায় রাজাকার বলছে। তাদের সুরে সুর মিলিয়েছে। এইসব মিথ্যা অপবাদের কারণে আওয়ামী লীগ ধ্বংস হয়ে গেছে, দেশ ছেড়ে পালিয়েছে। আপনারাও এই ভুল কইরেন না, নিজেদের ধ্বংস নিজেরা ডেকে আনবেন না।
তিনি পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের ব্যাপারে বলেন, “১৯৭১ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের যতগুলো দল রাষ্ট্রক্ষমতায় এসেছিল সবাই ৩০ থেকে ৩৫ ভাগ ভোটারের সমর্থন নিয়ে সরকার গঠন করেছে। বাকি ৬৫ ভাগ ভোটারের মতামতের কোনো দাম ছিল না। ৩০ থেকে ৩৫ ভাগ ভোটারের সমর্থন নিয়ে সংসদে বসে তারা বিভিন্ন আইন গঠন ও পরিবর্তন করেছে। পিআর পদ্ধতির মাধ্যমেই সকল জনগণের মতামতের গুরুত্ব দেওয়া সম্ভব।” এ জন্য তিনি পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন ও ভোটদানের দাবি জানান।
নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যাপারে তিনি উল্লেখ করে বলেন, “বিগত কয়েকদিন আগে পিরোজপুর সদর উপজেলা বিএনপির কাউন্সিলে নিজেদের দলের কর্মীরা ব্যালট বাক্স ছিনতাই করে নিয়ে গেছে, সেখানে মারামারি-হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে, আপনারা সবাই এ ব্যাপারে অবগত আছেন। যে দেশে নিজ দলের কর্মীদের কাছে নেতারা নিরাপদ নয় সে দেশে কীভাবে নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু নির্বাচন করা সম্ভব?” বলে তিনি মন্তব্য করেন।
তিনি উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে বলেন, “পিরোজপুর-১ আসনে আল্লামা সাঈদী ১০ বছর সংসদ সদস্য থাকাকালীন সময়ে যে উন্নয়ন করে গেছেন আমি তার অসম্পূর্ণ কাজ সম্পন্ন করতে চাই। আপনারা আমাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করলে, মহান আল্লাহ খাদেম হিসেবে কবুল করলে জিয়ানগর উপজেলা সহ পিরোজপুর-১ আসনকে মডেল হিসেবে গড়ে তুলতে পারব। আমি ৫ আগস্টের পর থেকে বিগত এক বছরে যে উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের ব্যাপারে বরাদ্দ করিয়েছি আপনারা এ ব্যাপারে অবগত আছেন।
যুব বিভাগ সমাবেশে সদর ইউনিয়ন যুব বিভাগের সভাপতি মাওলানা ফারুক হোসেনের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি আহাদুল ইসলাম নাঈমের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইন্দুরকানি উপজেলা জামায়াতে ইসলামী আমির মাওলানা আলী হোসেন, সেক্রেটারি তৌহিদুর রহমান রাতুল, জেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সহ-সভাপতি মাওলানা আব্দুল হাই, সদর ইউনিয়ন জামায়াতের আমির মাওলানা খাইরুল বাশার, উপজেলা বায়তুলমাল সম্পাদক মাওলানা কবির হোসেনসহ জামায়াতের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।