লালমোহন (ভোলা) প্রতিনিধি: ভোলার লালমোহন উপজেলার ইসলামিক মডেল মাদরাসার নিরাপত্তা গেট নির্মাণে বাঁধা প্রদান ও মাদরাসা দখলের হুমকির অভিযোগ পাওয়া গেছে।
মঙ্গলবার সকালে পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন ইসলামিক মডেল মাদরাসা প্রাঙ্গণে এ ঘটনা ঘটে। মাদরাসার সিনিয়র শিক্ষক আজিম উদ্দিন খান জানান, লালমোহন ইসলামী সমাজ কল্যাণ পরিষদ কর্তৃক পরিচালিত মাদরাসাটি গত ৩০ বছর ধরে সুনামের সহিত শিক্ষার্থীদের শিক্ষা প্রদান করছে।
মাদরাসাটির নিজস্ব বাউন্ডারি ও গেটও রয়েছে। তবে ভোলা-চরফ্যাশন মহাসড়কের উন্নয়নের সময় রাস্তা প্রসস্থকরণ এবং পৌরসভার ড্রেন করার কারণে ওই বাউন্ডারি ও গেট ভেঙে ফেলা হয়। এরপর মাদরাসা কর্তৃপক্ষ মঙ্গলবার সকালে পুণরায় মাদরাসার নিরাপত্তার স্বার্থে গেট নির্মাণের কাজ শুরু করলে পাশর্^বর্তী অহিদুর রহমান ও তার নাতি ফারহান অয়ন বাঁধা দেন।
ইসলামিক মডেল মাদরাসার অধ্যক্ষ আব্দুজ জাহের বলেন, মাদরাসার দাতা মরহুম সামছুল হক মাস্টার সাহেবের সন্তান সিদ্দিক হায়দারদের সঙ্গে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ চলছে অহিদুর রহমান গংদের। হঠাৎ অহিদুর রহমান এই মাদরাসার জায়গা তাদের দাবি করে এবং এ বিষয়ে একাধিক শালিস বৈঠক করা হয়, দু‘পক্ষের কাগজপত্র দেখে শালিসগণ মাদরাসার কাগজপত্র ঠিক রয়েছে বলে মাদরাসার পক্ষে রায় দেন।
তারা শালিস না মেনে জরিপ অফিসেও আপত্তি জানান। কিন্তু জরিপ অফিসে দু‘পক্ষের কাগজপত্র দেখে আমাদের মাদরাসার নামেই রায় দেয়। তিনি আরো বলেন, গত দুই বছর আগে মহাসড়ক ও পৌরসভার ড্রেন করার জন্য মাদরাসার সামনের দেয়াল ও গেট ভাঙতে হয়। মাদরাসায় প্রায় ৮শ শিক্ষার্থী রয়েছে। গেট না থাকায় শিক্ষার্থীরা প্রতিদিনই ছোটোখাটো দুর্ঘটনার সম্মুখীন হচ্ছে।
এ জন্য আজকে (মঙ্গলবার) মাদরাসার গেট নির্মাণের উদ্যোগ নিলে অহিদুর রহমানের নেতৃত্বে বাঁধা প্রদান ও হুমকি ধামকি দেন। তারা জোরপূর্বক মাদরাসা দখলের হুমকিও দেন। বিষয়টি নিয়ে আমরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দেবো। অভিযোগের ব্যাপারে অহিদুর রহমান জানান, মহাসড়কের পাশের জমিটি আমাদের। রাস্তার পাশের ৪৯৪ দাগের ৫ শতাংশ জমি আমাদের ওয়ারিশি সম্পত্তি।
মাদরাসা কর্তৃপক্ষ আমাদের জমিটি ভোগদখল করে আসছে। এ নিয়ে বহু দেনদরবার হয়েছে। কিন্তু তারা আমাদের সম্পত্তি ছাড়তে রাজি হয়নি। তারা সেটেলমেন্ট অফিসে ক্ষমতা ব্যবহার করে কাগজ তাদের নামে করে নিয়েছে। জমিটি নিয়ে এখনো বিরোধ চলছে।
আজ তারা কোনো মিমাংস না করেই গেট নির্মাণ করতে যায়। আমি বাঁধা দিলে শিক্ষক আজিম উদ্দিনের সঙ্গে আমার কথার কাটাকাটি হয়। তবে কোনো গালিগালাজ বা হুমকি প্রদান করিনি।