More

    বাকেরগঞ্জের ছালাম আকন রেহেনার প্রেমে পড়ে সব হারিয়ে নিঃস্ব!

    অবশ্যই পরুন

    বরিশালের  বাকেরগঞ্জ উপজেলার ভরপাশা ইউনিয়নের দুধলমৌ গ্রামে ৬০ বছর বয়সের বৃদ্ধ ছালাম আকন ৪০ বছর বয়সী রেহেনা বেগম নামের এক নারীর প্রেমে পড়ে দ্বিতীয় বিয়ে করে নিঃস্ব হয়েছেন।

    ঘটনার সূত্রে জানা যায়, ছালাম আকন পার্শ্ববর্তী উপজেলা দুমকির লেবুখালীতে একজন মুদি দোকানদার। তিনি প্রথম স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে লেবুখালীতে বসবাস করতেন। তার মুদির দোকানের পাশেই ভাড়াটে বাসায় বসবাস করতেন নলছিটির উপজেলার তিমিরকাঠি গ্রামের ৪০ বছর বয়সী নারী রেহেনা বেগম। ওই নারী ছালাম আকনের মুদি দোকান থেকে প্রায় বাজার করতেন। দিন দিন দুই জনের মাঝে সম্পর্কে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে।

    এরপর দুই জনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক হয়। এরই মধ্যে ছালাম আকনের মালিকানাধীন সম্পত্তি সরকার অধিগ্রহণ করলে চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে ছালাম আকন দুই কোটি ৭৩ লক্ষ টাকা পায়। হঠাৎ করে কোটি কোটি টাকা হাতে আসলেই নিজেকে ভাসিয়ে দেন প্রেমের জোয়ারে। প্রথম স্ত্রী আর সন্তানদের কথা ভুলে প্রেমিকা রেহেনা কে নিয়ে নতুন করে ঘর বাঁধেন। ওই টাকা পেয়ে ছালাম আকন প্রথম স্ত্রী ও সন্তানদের ফেলে রেখে পরিবার-পরিজনের অমতে প্রেমিকা রেহেনা বেগমকে বিয়ে করেন। এরপরে নতুন স্ত্রীকে নিয়ে বাকেরগঞ্জের ভরপাশা ইউনিয়নের দুধলমৌ গ্রামের একটি ভাড়া বাসায় বসবাস শুরু করেন।

    ভুক্তভোগী ছালাম আকন জানান, দ্বিতীয় বিয়ের পর নতুন স্ত্রীকে খুশি রাখতে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের ২ তারিখে তার ব্যাংক অ্যাকাউন্টটি রাখা রাখা ২ কোটি ৭৩ লক্ষ টাকা থেকে ৯৫ লক্ষ টাকা উত্তোলন করে ২৭ লক্ষ ৬৩ হাজার টাকায় বাকেরগঞ্জের ভরপাশা ইউনিয়নের দুধলমৌ গ্রামে জমি ক্রয় করে দেন স্ত্রী রেহেনাকে। বাকি ৬৩ লক্ষ ৩৭ হাজার টাকা ঘরের আলমারি তে রাখলে দ্বিতীয় স্ত্রী রেহেনা বেগম আত্মসাৎ করন। টাকা-পয়সার লেনদেন নিয়ে দুই জনের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি হয়। ওই টাকা ফেরত পেতে স্ত্রীর বিরুদ্ধে বরিশাল আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছেন তিনি। যে মামলাটি পিবিআই তদন্ত করছে।

    ছালাম আকন আরো বলেন, একে একে বসতবাড়ির আসবাবপত্র ও সঞ্চিত অর্থও দ্বিতীয় স্ত্রীর পিছনে শেষ করেছেন তিনি। রেহেনা বেগম বিভিন্ন সময় কৌশল করে লক্ষ লক্ষ টাকা তার থেকে নিয়ে নিঃস্ব করেছে। এখন প্রথম স্ত্রী-সন্তানদের কাছে আশ্রয় নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন বলেও জানান তিনি।

    খোঁজখবর নিয়ে জানা যায়, দ্বিতীয় স্ত্রীকে জমি ক্রায় করে বাড়ি নির্মাণ করে দিলেও সেই বাড়ি থেকে তার স্ত্রী তাড়িয়ে দিয়েছেন। লোভ ও অন্ধ প্রেমের কারণে বৃদ্ধ ছালাম তার প্রথম সংসার ভেঙে নতুন স্ত্রীকে নিয়ে ঘর বাঁধলেও নতুন স্ত্রীর ঘরে তার স্থান বেশিদিন হয়নি। সব হারিয়ে বৃদ্ধ সালাম নিঃস্ব হয়ে ফিরে এসেছেন প্রথম স্ত্রী সন্তানের ঘরেই। এ নিয়ে এলাকায় চাঞ্চলের সৃষ্টি হয়েছে।

    ছালাম আকনের ছেলে মহিনউদ্দিন জানান, আমার বাবার টাকা দেখেই রেহেনা বেগম ছলে বলে কলে কৌশলে আমার বাবার সাথে সম্পর্ক গড়ে। এরপর বাবাকে নিয়ে বরিশালে চলে যায়। পরবর্তীতে আমরা শুনি আমার বাবা রেহেনা বেগমকে আদালতের মাধ্যমে বিয়ে করেছে। আমার বাবার ব্যাংকে থাকা টাকা ওই মহিলা আত্মসাৎ করে এবং আমার বাবার টাকায় বাকেরগঞ্জের ভরপাশায় একটি বাড়ি নির্মাণ করেছে। অথচ এখন আমার বাবাকে ওই বাড়ি থেকেও তাড়িয়ে দিয়েছে। এখন আমরা বাবাকে আশ্রয় দিয়েছি। বাবা ওই মহিলার বিরুদ্ধে বরিশাল আদালতে একটি মামলা করেছেন। মামলাটির সঠিকভাবে তদন্তের দাবি জানিয়েছেন তিনি।

    এ বিষয়ে রেহেনা বেগম বলেন, ছালামের সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক হওয়ার পরে আদালতের মাধ্যমে বিয়ে হয়। বিয়ের পরে আমি আমার স্বামীকে নিয়ে প্রায় এক বছর যাবত একসাথে বসবাস করে আসছি। বিয়ের পরে ছালাম তাকে ৪০ লক্ষ টাকা দিয়েছেন বলেও স্বীকার করেন। তবে বাকি টাকা তাকে দেওয়া হয়নি বলেও জানান তিনি। তার স্বামী এখন তার বিরুদ্ধে মামলা করেছেন তাই তারা দুজন এখন আলাদা বসবাস করছে। তার বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাৎ এর বিষয় সঠিক নয় বলেও জানিয়েছেন তিনি

    সম্পর্কিত সংবাদ

    সর্বশেষ সংবাদ

    কেন্দ্র ঘোষিত পাঁচ দফা দাবি আদায়ের লক্ষে কলাপাড়া উপজেলা শাখা জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল সমাবেশ

    কলাপাড়া প্রতিনিধি: পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় জামায়াতের কেন্দ্র ঘোষিত পাঁচ দফা দাবি আদায়ের লক্ষে সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে। শুক্রবার বিকেলে কলাপাড়া...