স্টাফ রিপোর্টার : পটুয়াখালীর গলাচিপায় শিশু নির্যাতন মামলায় অভিযুক্ত চরবিশ্বাস ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য হাসান সরদারের অপসারণ ও গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী। রোববার (৫ অক্টোবর) দুপুর ২টায় চরবিশ্বাস ইউনিয়নের বটতলা বাজারে ৯ নম্বর ওয়ার্ডের জনগণের আয়োজনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রায় চার শতাধিক বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক খলিল সরদার, স্থানীয় বাসিন্দা ফিরোজ হাওলাদার, হাদি হাওলাদার, হেলেনা বেগম, সাইদুল প্যাদা ও মো. সালমান প্রমুখ। বক্তারা অভিযোগ করেন, মানববন্ধনের খবর পেয়ে হাসান সরদার তার লোকজন দিয়ে নির্যাতনের শিকার কিশোর ও মামলার বাদীকে গুম করে রেখেছে। মামলা দায়েরের পর থেকে ভয়ে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন ভুক্তভোগীর পরিবার।
তারা আরও অভিযোগ করেন, হাসান সরদার এলাকায় ভয়ের ত্রাস সৃষ্টি করে রেখেছেন। তিনি নিয়মিত মানুষ নির্যাতন, সরকারি চাল আত্মসাৎ, শালিসি বাণিজ্য, ঘুষ ও দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত। বক্তারা বলেন, গত ২৯ সেপ্টেম্বর দুই কিশোরকে চুরির অভিযোগে ধরে নিয়ে হাসান সরদার ও ইমরান বয়াতি হাত-পা বেঁধে নির্মমভাবে মারধর করেন। পরে ১০ হাজার টাকা জরিমানা দাবি করে সাদা কাগজে স্বাক্ষর নেন। নির্যাতনের ভয়ে এখন ভুক্তভোগী পরিবার এলাকা ছাড়া।
তারা অবিলম্বে ইউপি সদস্যের অপসারণ ও গ্রেফতার দাবি করেন। মানববন্ধন শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়, যা বাজারের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে একই স্থানে এসে শেষ হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) মো. কামাল উদ্দিন বলেন, মামলাটি তদন্তাধীন রয়েছে। ইতোমধ্যে এক আসামিকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
বাকি আসামিদপর গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। আর মামলার বাদী নিখোঁজ হওয়ার ব্যাপারে আমাকে কেউ কিছু জানায়নি। শনিবারও আমি কথা বলে আসছি বাদী ও ভুক্তভোগী কিশোরের সাথে।
উল্লেখ্য, গত সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) উপজেলার চরবিশ্বাস ইউনিয়নের চরমহিরউদ্দিন এলাকায় পাউবোর নতুন স্লুইসগেট বাজারে কিশোর আবদুল্লাহ (১০) ও সাব্বির (১৪)-কে হাত-পা বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে ইউপি সদস্য হাসান সরদার ও ইমরান বয়াতির বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) রাতে শাহজাহান সরদার বাদী হয়ে গলাচিপা থানায় শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করেন। পুলিশ ইতোমধ্যে ইমরান বয়াতিকে গ্রেফতার করেছে।