অবৈধ সম্পদ অর্জন ও সম্পদ বিবরণীতে তথ্য গোপনের অভিযোগে দুদকের করা মামলায় বরগুনা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সাবেক নাজির মাসুদ করিমকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। সোমবার স্ত্রীসহ মাসুদ করিম বরগুনা জজ আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেন।
পরে বিচারক স্ত্রীর জামিন মঞ্জুর করলেও মাসুদকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বলে জানান রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি (পিপি) নুরুল আমীন। এর আগে ১১ সেপ্টেম্বর মাসুদ করিম ও তার স্ত্রী খাদিজা বেগমের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিল আদালত।
২০২৪ সালের ৩০ মে বরগুনার বিশেষ জজ আদালতে তাদের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন দুদকের পটুয়াখালী সমন্বিত কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. রাসেল রনি। আদালত ও মামলা থেকে জানা গেছে, দুদক অনুসন্ধান করতে গিয়ে মাসুদের গ্রহণযোগ্য আয় পায় ৫৪ লাখ ৭৪ হাজার ৬০২ টাকা। তবে মাসুদের নামে দুই কোটি দুই লাখ ৬১ হাজার ২০২ টাকা ও তার স্ত্রী খাদিজার নামে ২২ লাখ সাত হাজার ১৫৫ টাকার সম্পদের তথ্য পায় দুদক।
এ ছাড়া ৩২ লাখ ৫৯ হাজার ৯৯৩ টাকার ঋণ বাদে মাসুদ ও তার স্ত্রীর নামে এক কোটি ৯২ লাখ আট হাজার ৩৬৪ টাকার অর্জিত সম্পদের তথ্য পেয়েছে দুদক। মাসুদ তার সম্পদ বিবরণীতে ব্যয় দেখিয়েছেন ২৫ লাখ ৫৪ হাজার ১৪৩ টাকা। তবে মাসুদ ও স্ত্রীর নামে দুই কোটি ১৭ লাখ ৬২ হাজার ৫০৭ টাকার অর্জিত সম্পদ পাওয়া গেছে।
তদন্তে ৫৪ লাখ ৭৪ হাজার ৬০২ টাকা আয় ব্যতীত মাসুদ ও তার স্ত্রীর নামে অর্জিত জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে এক কোটি ৬২ লাখ ৮৭ হাজার ৯০৫ টাকার সম্পদে অসঙ্গতি পেয়েছে দুদক। এ ছাড়া দুদকে দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে মাসুদ ৪১ লাখ ৬৭ হাজার ৮৩২ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করেছিলেন বলে জানান পিপি নুরুল আমীন।