বরগুনায় সাইবার প্রতারণার মাধ্যমে সাধারণ মানুষের কষ্টার্জিত টাকা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে হাতিয়ে নেওয়ার সঙ্গে জড়িত আন্তঃজেলা প্রতারক চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সোমবার (৬ অক্টোবর) জেলা পুলিশের মিডিয়া শাখার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করা হয়েছে।এর আগে শনিবার (৫ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে আমতলীর উত্তর টিয়াখালী এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার তিনজন হলেন- পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার দেবপুর গ্রামের মো. সুজন, আমতলী উপজেলার উত্তর টিয়াখালী এলাকার আব্দুর রহমান ও তার স্ত্রী সুমি। গ্রেপ্তারের সময় তাদের কাছ থেকে মোবাইল ব্যাংকিং প্রতারণায় কাজে ব্যবহৃত ৫টি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়েছে।
জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত এক মাস ধরে বরগুনার বিভিন্ন থানায় মোবাইল ব্যাংকিং বিকাশ প্রতারণাসংক্রান্ত একাধিক অভিযোগ জমা পড়ে। পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আল মামুন শিকদার অভিযোগগুলো গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় নিয়ে সাইবার টিমকে অপরাধী শনাক্তে নির্দেশ দেন। দীর্ঘ পর্যবেক্ষণ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিশ্লেষণের মাধ্যমে শেষ পর্যন্ত চক্রটিকে শনাক্ত করা সম্ভব হয়।
পুলিশ আরও জানায়, দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ আত্মীয়ের চিকিৎসা বা সংবেদনশীল পারিবারিক ঘটনা সাজিয়ে মানুষকে ফোন করে মোবাইল ব্যাংকিং বিকাশের মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছিল। সম্প্রতি এক প্রবাসী শ্রমিকের অসুস্থতার নাটক সাজিয়ে তারা আমতলীর গাজীপুর এলাকার রাকিবুল খানের কাছ থেকে ৩৮ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। এ ঘটনায় আমতলী থানায় মামলা করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার হওয়া আসামিরা প্রতারণার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন।
বরগুনা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আল মামুন শিকদার বলেন, সাইবার প্রতারণা দেশের বিভিন্ন স্থানে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। বরগুনা জেলা পুলিশ এসব অপরাধের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতিতে কাজ করছে। গ্রেপ্তার হওয়া তিনজনের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, সহযোগীদেরও চিহ্নিত করে দ্রুত আইনের আওতায় নিয়ে আসার যথাযথ আইনি কার্যক্রম চলমান রয়েছে।