More

    আদালত চত্বরে যমজ সন্তান নিয়ে বাবা-মায়ের টানাহেঁচড়া

    অবশ্যই পরুন

    চাঁদপুর আদালত চত্বরে যমজ শিশু সন্তানদের নিয়ে তাদের বাবা-মার কান্নাকাটিসহ টানাটানি শুরু হয়। গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে ম্যাজিস্ট্রেট ফাহিমের কোর্ট থেকে বের হওয়ার পর দুপক্ষের স্বজনদের আহাজারি ও বাচ্চা টানাটানির একটি ভিডিও ভাইরাল হয়।

    আদালত সূত্র জানায়, চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার সন্তোষপুর বেপারী বাড়ির মিজানুর রহমানের ছেলে তারেক রহমানের সঙ্গে একই গ্রামের বিল্লাল হোসেনের মেয়ে সুমাইয়ার বিয়ে হয়। ২০২২ সালের ২১ অক্টোবর এই দম্পতির ঘরে হাসান ইসলাম রেদোয়ান ও হোসাইন ইসলাম নামে যমজ ছেলে সন্তান হয়। ২০২৪ সালের শেষ দিকে সুমাইয়া সন্তানদের ফেলে অন্য একজনকে বিয়ে করেন। এক সময় দ্বিতীয় স্বামী সুমাইয়াকে ছেড়ে অন্যত্র চলে গেলে পুনরায় তারেকের কাছে আসতে চান।

    তারেক এতে রাজি না হওয়ায় তার বিরুদ্ধে আদালতে যৌতুক ও সন্তানদের ফিরে পাওয়ার মামলা দেয়। তার পরিপ্রেক্ষিতেই আদালত শিশুদের তার মায়ের জিম্মায় দিলে এই ঘটনার সূত্রপাত হয়। দেখা যায়, রায় শোনার পরপরই বাবার কাছে থাকা শিশু সন্তানদের নিজের কবলে আনতে মা সুমাইয়া ও তার বাবার বাড়ি পক্ষের লোকজন সন্তানদের নিতে টানাহেঁচড়া শুরু করেন। এদিকে তারেকও সন্তানদের নিজের কাছে আগলে রাখতে চেষ্টা করেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বাবা তারেককে হতে হয় পরাস্ত।

    এ সময় তারেক আদালত চত্বরে কখনো গড়াগড়ি করে কখনো বসে সন্তানদের নিজের কাছে রাখার জন্য চিৎকার করতে থাকেন। বলতে থাকন, ‘এ বিচার হয় না। এ আমি মানি না।’ বাবা-মায়ের এই অবস্থা দেখে শিশু দুটিও চিৎকার করতে থাকে। এ সময় আদালত চত্বরে মানুষজন জড়ো হতে থাকে। এ ঘটনায় তারেক বলেন, ‘৯ মাস আগে ফোনে আমাকে তালাক দিয়ে নোটিশ পাঠানোর কথা বলে সুমাইয়া তার প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে বিয়ে করে। যদিও তখন তালাকনামা পাঠায়নি।

    এরপর থেকে ওই দুধের শিশুদের আমিই লালন-পালন করে বড় করতে থাকি।’ তিনি বলেন, ‘মাসখানেক আগে সুমাইয়া আমাকে তালাকনামা পাঠিয়েছে। এর মধ্যে সুমাইয়াকে তার প্রেমিক ছেড়ে চলে গেলে সে আমার কাছে ফিরতে চায়। পরে স্থানীয়দের নিয়ে সালিশ বৈঠকে আমি সমাধান চাই।’ তার অভিযোগ, সুমাইয়া স্থানীয়দের অমান্য করে আদালতে গিয়ে যৌতুক মামলা ও শিশু উদ্ধারের মামলা করেন। পরে আদালত শিশুদের তার জিম্মায় দেন। তিনি বলেন, ‘আমার ছেলেরা যেতে চাচ্ছিল না

    । অঝোঁরে কেঁদে আমার কাছেই থাকতে চাচ্ছিল। এটা আমি মেনে নিতে পারছি না এবং আমি সুমাইয়ার শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।’ এ বিষয়ে সুমাইয়া বলেন, ‘আমার সন্তানদের আমি আমার জিম্মায় পেয়েছি। এখন এর বেশি কিছু বলতে চাচ্ছি না।’ তারেকের পক্ষের আইনজীবী শাহজাহান মিয়া বলেন, মেয়েটি যার সঙ্গে গিয়ে সংসার পেতেছিলেন সেই দ্বিতীয় সংসার ভেঙে যায়।

    সেখান থেকে ফিরে এসে এই নারী প্রথম স্বামী তারেকের বিরুদ্ধে আদালতে যৌতুকের মামলা করেন। একই সঙ্গে প্রথম ঘরের সন্তানদের নিজের জিম্মার নেওয়ার আবেদন করেছিলেন। পরে আদালত অবুঝ দুই সন্তানকে মায়ের জিম্মায় দেন। এই রায় কোনোভাবেই মেনে নিতে পারেননি মা ছাড়া সন্তানদের লালনপালনকারী অসহায় বাবা।

    সংসার জীবনে পরাজিত সেই বাবার অভিযোগ, যে নারী স্বামী সন্তান রেখে প্রেমিকের হাত ধরে চলে যেতে পারে। তার হাতে সন্তান নিরাপদ নয়।

    সম্পর্কিত সংবাদ

    সর্বশেষ সংবাদ

    আফগানদের ২২২ রানের লক্ষ্য দিলো বাংলাদেশ 

    আবুধাবিতে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ব্যাটিং বিপর্যয়ের পরও মেহেদি হাসান মিরাজ ও তাওহিদ হৃদয়ের দারুণ জুটিতে ভর করে...