অল্প সময়ের মধ্যে তড়িঘড়ি করে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ১২তম আসর শুরু করে যাচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। টুর্নামেন্ট সামনে রেখে এরই মধ্যে নিজেদের কর্মযজ্ঞ শুরু করে দিয়েছে তারা। বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের বৈঠক শেষে সহসভাপতি ও মার্কেটিং কমিটির চেয়ারম্যান শাখাওয়াত হোসেন জানিয়েছেন, আগামী ১৭ নভেম্বর বিপিএলের আগামী আসরের প্লেয়ার্স ড্রাফট অনুষ্ঠিত হবে।
আগামী বিপিএলে পাঁচ থেকে ছয়টি দল অংশ নেবে—এমন হিসেব করেই টুর্নামেন্ট আয়োজনের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন আয়োজকরা। খুব দ্রুতই ফ্র্যাঞ্চাইজি প্রতিষ্ঠানও চূড়ান্ত করবে বোর্ড। বিপিএলে প্রথমবারের মতো ভেন্যু বাড়ানোর সিদ্ধান্তও নিয়েছে বিসিবি। এরই মধ্যে রাজশাহী ও বরিশাল বিভাগের দুটি স্টেডিয়াম পরিদর্শন করেছে ফ্যাসিলিটিজ বিভাগ।
সবকিছু ঠিক থাকলে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেটের পাশাপাশি আসন্ন আসরেই নতুন ভেন্যু দেখা যেতে পারে বলে জানিয়েছে গভর্নিং কাউন্সিল। পরিস্থিতি বিবেচনায় এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিসিবি। এবার বিপিএলে অংশ নিতে যাওয়া দলগুলোর জন্য আছে সুখবরও। প্রথমবারের মতো বিপিএলে দীর্ঘমেয়াদি লভ্যাংশ ভাগাভাগির পথে এগোচ্ছে বিসিবি।
ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর দীর্ঘদিনের দাবি মেটাতেই এমন উদ্যোগ নিচ্ছে বোর্ড। আগামী আসর থেকে প্রতিটি টুর্নামেন্টের টেলিভিশন স্বত্ব থেকে শুরু করে মোট লাভের ৩০ শতাংশ ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর সঙ্গে ভাগাভাগি করবে বোর্ড। একই সঙ্গে মাঠের প্যারিমিটার বোর্ডেও প্রতিটি ম্যাচে ১৫ মিনিট করে মোট ৩০ মিনিট ভাগ করে দেওয়া হবে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোকে। এ সময় ফ্র্যাঞ্চাইজির মালিকরা নিজেদের প্রচার চালাতে পারবেন। প্রথমবারের মতো এমন উদ্যোগ নিয়েছে বিসিবি।
এদিকে, আসন্ন বিপিএলে ফ্র্যাঞ্চাইজি ফি ধরা হচ্ছে ২ কোটি টাকা। আগামী পাঁচ মৌসুমের জন্য ফ্র্যাঞ্চাইজি পেলেও প্রতি বছর ১৫ শতাংশ হারে বাড়বে ফ্র্যাঞ্চাইজি ফি। অর্থাৎ পরের বছর সেটা দাঁড়াবে ২ কোটি ৩০ লাখ এভাবেই প্রতি বছর বাড়তে থাকবে। তবে দল পেতে প্রতিটি ফ্র্যাঞ্চাইজিকে ব্যাংক গ্যারান্টি বাবদ জমা দিতে হবে ১০ কোটি টাকা; যা ছয় মাস থাকবে বোর্ডের কাছে।
টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হলে আছে আকর্ষণীয় প্রাইজমানির ব্যবস্থা। চ্যাম্পিয়ন দলকে দেওয়া হবে পৌনে ৩ কোটি টাকা। আর রানার্সআপ দল পাবে পৌনে ২ কোটি টাকা। এ ছাড়া নানা আকর্ষণীয় পুরস্কার নিয়ে টুর্নামেন্ট আয়োজনের প্রস্তুতি নিচ্ছে নতুন বোর্ড।