বাংলা চলচ্চিত্রের অমর নায়ক শাহর রহস্যজনক মৃত্যুর প্রায় তিন দশক পর নতুন মোড় নিলো ঘটনাটি। আদালতের নির্দেশে তার অপমৃত্যু মামলাটি এবার হত্যা মামলা হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে। প্রায় ২৯ বছর পর সালমান শাহ হত্যা মামলার তদন্তে নেমেছে রমনা থানা পুলিশ।
সেই তদন্তের জের ধরে সালমান শাহ ২৯ বছর আগে যে বাসাটিতে বসবাস করতেন সেখানে তদন্তের জন্য গিয়েছে পুলিশ। নায়কের মৃত্যুর পর সিলগালা করে দেওয়া হয়েছিল ওই ফ্ল্যাটটি। বর্তমানে ফ্ল্যাটের মালিক সেখানে বসবাস করছেন।
নব্বই দশকে এই বাসাটিতেই স্ত্রী সামিরাকে নিয়ে ভাড়া থাকতেন সালমান শাহ। রাজধানীর ‘ইস্কাটন প্লাজার’ ওই ফ্ল্যাটের ভেতরের চিত্র কেমন তা ঘুরে ঘুরে দেখেছে পুলিশ। এর আগে সোমবার (২০ অক্টোবর) মধ্যরাতে রাজধানীর রমনা থানায় মামলাটি করেন সালমান শাহের মামা আলমগীর কুমকুম। মামলায় সালমান শাহের স্ত্রী সামিরা হককে প্রধান আসামি করা হয়েছে।
এ ছাড়াও অভিযুক্তদের তালিকায় রয়েছেন ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাই, লতিফা হক লুসি, চলচ্চিত্রের খলনায়ক ডনসহ মোট ১১ জন। এজাহারে আরও কয়েকজন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির নামও উল্লেখ করা হয়েছে। সালমান শাহের মামা আলমগীর কুমকুম সাংবাদিকদের বলেন, ‘সালমান শাহর বাবা একজন ম্যাজিস্ট্রেট ছিলেন। উনি অনেক চেষ্টা করেছেন অপমৃত্যুকে হত্যা মামলায় রূপান্তর করতে।
চেষ্টা করতে করতে উনিও দুনিয়া থেকে চলে গেলেন। এখন এতদিন পর এটা হয়েছে। ইনশাআল্লাহ প্রমাণ হবে এটা হত্যা।’ ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর সালমান শাহের লাশ উদ্ধার করা হয় এবং প্রথমে একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়েছিল।
তার অকালমৃত্যু নিয়ে তৈরি হওয়া রহস্যের জট এবার হত্যা মামলার তদন্তের মাধ্যমে খুলবে কি না, সেদিকেই তাকিয়ে আছে পুরো দেশবাসী।