রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় মেট্রোরেলের একটি বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে এক পথচারী নিহত হয়েছেন। রোববার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনার পরপরই উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেলের চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।
নিহত তরুণের নাম আবুল কালাম। বাড়ি শরীয়তপুর। বয়স আনুমানিক ৩৫-৪০ বছর। তেজগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোবারক জানান, ‘বিয়ারিং প্যাড ছিটকে পড়ে ঘটনাস্থলে একজন পথচারী নিহত হয়েছেন।’ প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, দুর্ঘটনার সময় ফুটপাত দিয়ে ওই তরুণ ব্যাগ নিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন।
হঠাৎ বিয়ারিং স্প্রিংটি ছিটকে পড়ে তার মাথায় আঘাত করে এবং পাশের একটি চপ-শিঙাড়ার দোকানেও আঘাত হানে। এতে দোকানের সামনের কাঁচ ভেঙে দুইজন আহত হন। মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত তরুণ ঘটনাস্থলেই মারা যান। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ছিটকে পড়া স্প্রিংটির ওজন প্রায় ৪০-৫০ কেজি।
ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) সূত্র জানিয়েছে, ‘এ ঘটনার কারণে পুরো পথেই মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। কখন চালু হবে তা এখনও নিশ্চিত করা যায়নি।’ এর আগেও গত বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর খামারবাড়ি এলাকায় মেট্রোরেলের একটি বিয়ারিং প্যাড ছিটকে পড়ে। তখন আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত ১১ ঘণ্টা ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকে।
বিশেষজ্ঞ ও সংশ্লিষ্টদের মধ্যে তখন গুরুতর নিরাপত্তা উদ্বেগ তৈরি হয়েছিল। এ ঘটনায় দ্বিতীয়বার বিয়ারিং প্যাড ছিটকে পড়েছে। মেট্রোরেলের লাইনের নিচে উড়ালপথের পিলারের সঙ্গে রাবারের এসব বিয়ারিং প্যাড বসানো থাকে। প্রতিটির ওজন আনুমানিক ১৪০–১৫০ কেজি। এগুলো ছাড়া ট্রেন চললে উড়ালপথ স্থানচ্যুত হওয়া বা দেবে যাওয়া হতে পারে।
তাই এই দুর্ঘটনার পর নিরাপত্তার কারণে চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে বলে ডিএমটিসিএল সূত্র জানিয়েছে। মেট্রোরেলের নবনিযুক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফারুক আহমেদ বলেছেন, ‘ফার্মগেটের খেজুরবাগান মোড়ের নির্মাণ নকশায় ত্রুটি রয়েছে। এর আগে এমন দুর্ঘটনা ঘটলেও জাপানিজ ঠিকাদার তা ঠিক করেনি।’
