More

    রোজার আগেই ফলের দাম আকাশছোঁয়া

    অবশ্যই পরুন

    রোজা শুরু এখনো কয়েক মাস বাকি থাকলেও রাজধানীর বাজারে এরই মধ্যে আমদানি করা ফলের দাম বেড়ে গেছে। সরবরাহ সংকটের অজুহাতে পাইকারি বাজারে মূল্যবৃদ্ধি পাওয়ায় খুচরা বাজারেও কেজিপ্রতি ৩০ থেকে ৬০ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের ফল।

    তবে দেশি ফলের বাজার এখনো স্থিতিশীল। শনিবার (১ নভেম্বর) রাজধানীর মগবাজার, মালিবাগ, রামপুরা, খিলগাঁও, মতিঝিল টেলিফোন কলোনি, শাহজাহানপুর এবং সেগুনবাগিচা এলাকার বিভিন্ন ফলের দোকান ঘুরে দেখা গেছে- আপেল, আঙুর, কমলা, আনারসহ আমদানি করা বেশিরভাগ ফলের দাম আগের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।

    ফকিরাপুলের খুচরা ফল বিক্রেতা আবু রায়হান বলেন, ‌‘বাদামতলীর পাইকারি বাজারে আমদানি করা সব ধরনের ফলের দাম কেজিপ্রতি ৩০ থেকে ৬০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। একইসঙ্গে কিছু ফলের ঘাটতিও তৈরি হয়েছে। এভাবে চলতে থাকলে রোজার আগে আরও দাম বাড়তে পারে।’ সেগুনবাগিচার দোকানি হারুন বলেন, ‘ফল সরবরাহে গড়মিল হচ্ছে। রোজার সময় ফলের চাহিদা বাড়বে তখন দাম তো বাড়তেই পারে।’ ক্রেতারা অভিযোগ করে বলেন, সবই সিন্ডিকেটের কারসাজি।

    বাজারে ফলের ঘাটতি নেই, তবুও সিন্ডিকেট করে দাম বাড়িয়ে দিচ্ছেন বিক্রেতারা। রোজার আগে দাম বাড়ানোর এই প্রবণতা এখনই নিয়ন্ত্রণ না করলে, রোজার মাসে ফল ক্রেতাদের নাগালের বাইরে চলে যেতে পারে বলে আশঙ্কা তাদের। আরামবাগ থেকে টিঅ্যান্ডটি কলোনি বাজারে ফল কিনতে আসা গৃহিণী নাহিদা সাবিহা বলেন, রোজা আসতে এখনো অনেক দেরি।

    এরই মধ্যে ফলের দাম বেড়েছে। ধরেই নেওয়া যায়, সামনে আরও বাড়বে। এখনই বাজার সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ না করলে রোজায় ফল সাধারণ মানুষের হাতের নাগালের বাইরে চলে যাবে।

    বাজারে প্রতি কেজি মাল্টা বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২৩০ টাকা, কমলা বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৩৫০ থেকে ৩৮০ টাকা, ছোট কমলা ৩০০ থেকে ৩২০ টাকা কেজি, নাশপাতি ৩০০ থেকে ৩৩০ টাকা কেজি, আনার ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকা কেজি, তুলনামূলক ছোট আঙুর ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা কেজি এবং পারসি প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০০ টাকায়। তবে দেশি ফল না হলেও দেশেই চাষ হচ্ছে ড্রাগন।

    এ ফলটির দাম বেড়েছে কেজিতে প্রায় ২০ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত। বর্তমানে প্রতি কেজি ড্রাগন বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ২৭০ টাকা। তুলনামূলক ছোট ড্রাগনগুলো বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ২০০ থেকে ২২০ টাকা।

    বর্তমান বাজারে এক কেজি পেয়ারা বা পেঁপে বিক্রি হচ্ছে ১০০-১২০ টাকায়, দেশি মাল্টা ১২০-১৪০ টাকা, আমড়া ১২০-১৫০ টাকা, আমলকী ২০০-২৫০ টাকা, জলপাই ৮০-১০০ টাকা। আনারস মিলছে প্রতি পিস ৩০-৪০ টাকায়, এক হালি লেবুর দাম ২০-৪০ টাকা।

    সম্পর্কিত সংবাদ

    সর্বশেষ সংবাদ

    চাঁদা না দেয়ায় সন্ত্রাসী হামলায় দোকান মহাজনকে হাতুড়ি দিয়ে গুরুতর জখম: আটক-৩

    অপরাধীদের দ্রুত শনাক্ত করে অনতিবিলম্বে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থার দাবি করেন ভুক্তভোগীরা। এর আগে সন্ত্রাসীরা চাঁদা চেয়ে প্রাণ নাশের হুমকি...