পটুয়াখালীর বাউফলে জামায়াতের এক কেন্দ্রীয় নেতার প্রোগ্রামকে কেন্দ্র করে উপজেলার একাধিক মাদ্রাসা নির্ধারিত সময়ের আগেই ছুটি দিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। জামায়াতে ইসলামীর ওই নেতা বাউফল পৌর শহরের একটি মাদ্রাসার অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। সরকারের নতুন নিয়মে মাধ্যমিক পর্যায়ের স্কুল-মাদ্রাসাকে শনিবারও খোলা রাখার নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।
আজ শনিবার নির্ধারিত সময়ের আগেই মাদ্রাসা ছুটি দিয়ে শিক্ষকরা জামায়াত নেতার অনুষ্ঠানে যোগদানের অভিযোগ ওঠেছে। জানা গেছে, শনিবার (১ নভেম্বর) বাউফল পৌর শহরের মুসলিম পাড়া এলাকায় রেসিডেন্সিয়াল মডেল মাদ্রাসার হিফজ বিভাগের সবক প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সাবেক শিবির সভাপতি ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জামায়াতের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ। ড. মাসুদ পটুয়াখালী-২ (বাউফল) সংসদীয় আসনে জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী।
এদিকে, এই প্রোগ্রামকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন মাদ্রাসা শিক্ষকদের উপস্থিতি ছিল লক্ষণীয়। উপজেলার চন্দ্রপাড়া ঢালী আছিয়া খাতুন আলিম মাদ্রাসা ও উত্তর দাশপাড়া দাখিল মাদ্রাসায় বেলা সাড়ে ১২টা থেকে দুপুর ১টার মধ্যে সরেজমিনে গিয়ে চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী ব্যতীত শিক্ষক-শিক্ষার্থী বা অন্য কোনো কর্মকর্তাকে পাওয়া যায়নি। এসময় ঢালী আছিয়া খাতুন আলিম মাদ্রাসার নিরাপত্তা প্রহরী মো. রুবেল জানান, ‘‘বাউফলে মাহফিল আছে এজন্য বেলা ১২টার দিকে মাদ্রাসা ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়েছে।’’
একইভাবে, উত্তর দাশপাড়া দাখিল মাদ্রাসার নিরাপত্তা প্রহরী নূরুল হক জানান, ‘‘গোলাবাড়ি প্রোগ্রাম আছে এজন্য একটা ক্লাস নিয়ে সুপার নজির আহম্মেদ স্যার ছুটি দিয়ে দিয়েছেন।’’ এছাড়া, প্রতিষ্ঠান ছুটির বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (অ.দা.) মো. আকরাম হোসেন খান বলেন, ‘‘এটা ঠিক না, আমি তাদের কাছে জিজ্ঞেস করব। আমাদের বার্ষিক পরীক্ষা খুব নিকটে।’’
হঠাৎ করে এভাবে মাদ্রাসা ছুটি দেওয়ার বিষয়ে জানতে উত্তর দাশপাড়া দাখিল মাদ্রাসার সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আমিনুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘‘বিষয়টি আমার জানা নেই, খোঁজ নিয়ে দেখছি।’’
