রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধনের দাবিতে ১২৩ ঘণ্টা ধরে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) প্রধান ফটকের সামনে আমরণ অনশন কর্মসূচি পালন করে আসছেন আমজনতার দলের সদস্যসচিব তারেক রহমান। কিন্তু এ কর্মসূচি ৫২২ ঘণ্টা হলেও কিছু করার নেই বলে জানিয়েছেন ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ। আজ রবিবার নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন। ইসি সচিব বলেন, ‘৫২২ ঘণ্টা হলেও কিছু করার নেই।
আপনি আমাকে বলেন… ক্যান ইলেকশন কমিশন গো বিয়ন্ড দ্য রুলস? সো… ইউ গট মাই আনসার।’ দিকে নিজের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলেও দল নিবন্ধনের দাবিতে অনড় রয়েছেন তারেক রহমান। গতকাল শনিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে মূল গেটের সামনে সরেজমিন দেখা যায়, তারেক রহমানের হাতে স্যালাইন লাগানো অবস্থায় শুয়ে আছে। তেমন কথাও বলছেন না। তার আশপাশে মানুষের ভিড়।
কেউ আসছেন তার সঙ্গে সংহতি জানাতে, কেউ আসছে শুধু তাকে দেখতে। এমন মানুষের ভিড়েই চোখ বন্ধ করে নীরবে শুয়ে আছেন তারেক। দুর্বল হয়ে এসেছে কণ্ঠস্বর, ঠিকমতো কথা আর বলতে পারছেন না তিনি। এ সময় নিজের সিদ্ধান্তে অনড় আছেন কি না জানতে চাইলে খুবই ধীরে তারেক রহমান বলেন, ‘অবশ্যই আমি আমার সিদ্ধান্তে অনড় আছি। এটা চলবে, অবশ্যই চলবে।
ওরা তিনটা উপজেলা কোথায় পেয়েছে? পরে সেটা ৩৩ কিভাবে হয়েছে? এটা আমি মানতে পারছি না।’ ইসি থেকে আর কেউ যোগাযোগ করেছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘কেউ আর যোগাযোগ করেনি। সেদিন (বৃহস্পতিবার) যে একজন উপসচিব এসেছিলেন… তিনি যে গিয়েছেন আর কেউ এরপর আসেনি। কেউ যোগাযোগ করেনি। কোনো চিঠি বা কিছুই দেয়নি।’
শারীরিক অবস্থা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘শরীরে অনেক ব্যথা করছে। তবে এমন অবস্থাতেও আমি অনশন চালিয়ে যেতে চাই।’ গত মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) চূড়ান্ত পর্যালোচনা শেষে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (মার্ক্সবাদী), বাংলাদেশ আম জনগণ পার্টিকে নিবন্ধন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এখন দাবি-আপত্তি চেয়ে পত্রিকায় গণবিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে।
এরপর দাবি-আপত্তি এলে তা নিষ্পত্তি করে চূড়ান্ত নিবন্ধন প্রদান করা হবে। সেদিন দল নিবন্ধনের তালিকা থেকে ছিটকে পড়ে তারেক রহমানের ‘আম জনতার দল’। এরপর বিকেল থেকেই আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের মূল ফটকে অনশনে বসে যান তারেক। সে অনশনের এখন ১২৩ ঘণ্টা চলমান রয়েছে।
