পটুয়াখালীতে ঘন কুয়াশার সঙ্গে শীতে জেঁকে বসেছে দক্ষিণের জনপদে। দক্ষিণের হিমেল হাওয়ায় স্থবিরতা নেমে এসেছে শহর থেকে গ্রামাঞ্চলে। ফলে পটুয়াখালীতে শিশুদের ঠান্ডাজনিত রোগ ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। তিন সপ্তাহে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে ৫৬৩ জন শিশু রোগী।
পটুয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে ধারণ ক্ষমতার চেয়ে বর্তমানে দ্বিগুন রোগী ভর্তি রয়েছে। ফলে পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। হঠাৎ করে ঘন কুয়াশার সঙ্গে বেশি ঠান্ডা পড়ার ফলে পটুয়াখালীসহ উপকূলীয় অঞ্চলের শিশুদের ব্যাপকভাবে দেখা দিয়েছে শ্বাসকষ্ট, নিউমোনিয়া ও ডায়েরিয়াসহ নানা রোগ-ব্যাধি।
পটুয়াখালী ২৫০ শয্যার হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে ৪০টি বেড’র বিপরীতে ভর্তি রোগী সংখ্যা ১১৬ জন। আসছে নতুন রোগীও। ওয়ার্ডে জায়গা না পেয়ে মানুষ চলাচলের পথে অসুস্থ শিশুদের নিয়ে মায়েরা অবস্থান করছেন। এতে বেডে সেবা নিতে হচ্ছে দুইজন শিশু সহ চার জনকে। এতে করে সুস্থ হওয়ার চেয়ে বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ছে।
পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলা থেকে আসা আছিয়া বেগম বলেন, ‘আমাদের একটি বেডে তিনজন শিশুরোগী নিয়ে চিকিৎসা নিতে হয়। এতে মা থাকে কোথায় আর শিশুরাও বা থাকে কোথায়। অনেক সময় শিশুরা নিচে পড়ে আহত ঘটনা ঘটেছে।’
পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স আখী রানি বলেন, ‘আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে দিন দিন ঠান্ডাজনিত শিশু রোগের সংখ্যা বেড়েই চলছে। ৪০টি বেডের বিপরীতে রোগী বেশি থাকায় আমাদের চিকিৎসা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। গত দুই মাসে ৩ শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
