বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও ভোলা-৩ আসনের সাবেক ৬ বারের সংসদ সদস্য এবং সাবেক সফল মন্ত্রী মেজর অব. হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীরবিক্রম বিএনপি থেকে মনোনয়ন পাওয়ার পর আগামীকাল শনিবার লালমোহনে আসছেন। গত ৩ নভেম্বর বিএনপির চেয়ারপার্সনের গুলশান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলীয় প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তখন ভোলা-৩ আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী মেজর (অব:) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীরবিক্রমের নাম ঘোষণা করেন।
বিএনপির দলীয় মনোনয়ন ঘোষণার পর ভোলা-৩ আসনের সাবেক ৬ বারের সংসদ সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীর বিক্রম আগামীকাল শনিবার সকালে লালমোহনে আসছেন। মেজর হাফিজ লালমোহনে আগমন উপলক্ষ্যে উপজেলার রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা বিরাজ করছে। নেতাকর্মীরা ইতোমধ্যে বিভিন্ন স্থানে ব্যানার, ফেস্টুন, স্বাগত তোরণ সাজিয়ে রেখেছেন। উপজেলা জুড়ে চলছে প্রস্তুতি, বৈঠক ও সমন্বয় কার্যক্রম।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, শনিবার সকালে মেজর হাফিজ ভোলায় পৌঁছে লালমোহনের উদ্দেশ্যে রওয়ানা করবেন। নেতাকর্মীরা গণসংবর্ধনা দেয়ার জন্য ডাওরী বাজারে অবস্থান করবো এবং সেখান থেকে মেজর হাফিজের সাথে একত্রে পদযাত্রার মাধ্যমে লালমোহন পৌর শহরের চৌরাস্তায় পথসভায় অংশ গ্রহণ করব ও লালমোহন বাসীর পক্ষ থেকে তাঁকে গণসংবর্ধনা দেয়া হবে।
বর্তমান রাজনৈতিক পরিবেশে তাঁর উপস্থিতিকে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন স্থানীয় বিশ্লেষকেরা। বিএনপি থেকে লালমোহন-তজুমদ্দিনের সংসদ সদস্য প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পাওয়ার পর প্রথমবারের মতো লালমোহনে তাঁর সফর হওয়ায়, কর্মী সমর্থকেরা এটিকে নতুন উদ্যম সৃষ্টির সুযোগ হিসেবে দেখছেন।
তাঁর এই সফর রাজনৈতিক কর্মসূচির প্রস্তুতি ও মাঠ পর্যায়ে বিএনপি সংগঠনকে আরও সক্রিয় করবে।
স্থানীয় নেতাকর্মীরা জানান, মেজর হাফিজ বরাবরই লালমোহন-তজুমদ্দিনের মানুষের কাছে জনপ্রিয় রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। তাঁর উন্নয়ন, সাংগঠনিক কার্যক্রম এবং কঠোর অবস্থানের কারণে কর্মীদের মধ্যে তাঁর প্রতি আস্থা উল্লেখযোগ্য।
সফরকে সামনে রেখে নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা রক্ষায় দলীয় স্বেচ্ছাসেবকরা প্রস্তুত রয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন স্থানে স্বাগত মিছিল, আলোচনা সভা এবং কর্মী সমাবেশ চলমান রয়েছে। তবে পুরো কার্যক্রম শান্তিপূর্ণ ও সুশৃঙ্খল করতে দলের নেতাকর্মীদের তৎপরতা লক্ষ্য করা গেছে।
স্থানীয় রাজনৈতিক মহলে ইতোমধ্যেই নানা আলোচনা চলছে। অনেকে বলছেন, তাঁর এ সফর আগামী দিনের রাজনীতি, দলীয় শক্তিশালীকরণ এবং মাঠ পর্যায়ের নেতৃত্ব বিন্যাসে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলবে।
বিশেষ করে তরুণ নেতারা তাঁর আগমনকে নতুন নেতৃত্ব তৈরির সুযোগ হিসেবে দেখছেন। মেজর হাফিজের সফরকে কেন্দ্র করে লালমোহনে যে উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি হয়েছে, তা রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন প্রাণচাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। আগামীকাল তাঁর সফরে লালমোহন উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন ও পৌরসভা থেকে প্রায় লক্ষাধিক নেতাকর্মী সমর্থকের উপস্থিতি হবেন বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
