ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন ফরম জমার শেষ দিনে ঝালকাঠির দুইটি আসনে আ.লীগ নেতাসহ ২৫জন মনোনয়নপত্র ফরম জমা দিয়েছেন। এর মধ্যে ঝালকাঠি -১ (রাজাপুর -কাঁঠালিয়া) আসনে ১৫ জন এবং ঝালকাঠি-২ (ঝালকাঠি সদর-নলছিটি) আসনে ১০ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।
সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. মমিন উদ্দিন। ঝালকাঠি -১ আসনে দলীয় প্রার্থী হয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম জামাল, জামায়াতে ইসলামীর ড. ফয়জুল হক, ইসলামী আন্দোলনের ইব্রাহীম আল হাদী, এনসিপির ডা. মাহামুদা মিতু, লেবার পার্টির মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, জাতীয় পার্টি (জাপা) কামরুজ্জামান খান, জাতীয় পার্টি (জেপি) এনামুল ইসলাম রুবেল, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি) সোহরাব হোসেন, জনতা দলের জসিম উদ্দিন তালুকদার, গণঅধিকার পরিষদের শাহাদাত হোসেন, জাতীয় পার্টি (জেপি) মাহিবুল ইসলাম মাহিম।
বিএনপি থেকে দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম আজম সৈকত, ব্যারিস্টার এম মঈন আলম ফিরোজী, কর্নেল মোস্তাফিজুর রহমান ও সাব্বির আহমেদ। ঝালকাঠি -২ আসনে দলীয় প্রার্থী হয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন বিএনপির সাবেক এমপি ইসরাত সুলতানা ইলেন ভুট্টো, জামায়াতে ইসলামীর শেখ নেয়ামুল করিম, ইসলামী আন্দোলনের সিরাজুল ইসলাম সিরাজী, আমার বাংলাদেশ (এবি পার্টির) শেখ জামাল হোসেন, জাতীয় পার্টি (জাপা) এম এ কুদ্দুস খান, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি) মাসুদ পারভেজ, গণঅধিকার পরিষদের মো. মাহমুদুল ইসলাম সাগর।
স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ঝালকাঠি সদর উপজেলা পরিষদের আওয়ামী লীগের সাবেক চেয়ারম্যান এবং ঝালকাঠি জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি সৈয়দ রাজ্জাক আলী সেলিম এবং মো. নুরুদ্দীন সরদার। এদিকে, স্বতন্ত্র প্রার্থী সেলিমের পক্ষে মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় ঝালকাঠি সদর থানা পুলিশ সাদাফ হোসেন (৩৫) ও মাকসুদুর রহমান (৪৩) নামের ওই দুইজনকে আটক করে পুলিশ হেফাজতে নেয়।
পরে তাদের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক উপাদানবলী আইনে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে ঝালকাঠি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইমতিয়াজ আহমেদ।
