ভোলার মেঘনা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনে বাধা দেওয়ায় স্থানীয়দের ওপর গুলি চালিয়েছে একদল সন্ত্রাসী। এতে ৩ জন স্থানীয় বাসিন্দা গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন। তাদেরকে চিকিৎসার জন্য ভোলা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শনিবার (১৫ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ভোলা সদর উপজেলার কাচিয়া ইউনিয়ন সংলগ্ন মেঘনা নদীতে এ ঘটনা ঘটে। এরপর দুপুর দেড়টার দিকে গুলিবিদ্ধদের হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য আনা হয়। গুলিবিদ্ধরা হলেন- কাচিয়া ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের আয়ুব আলীর ছেলে শাজাহান মীর (৭০), ছিদ্দিক উল্লাহর ছেলে মোহাম্মদ আলী মৃধা (৬০) ও পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মো. নয়নের ছেলে অপুর্ব শুভ (১৭)।
গুলিবিদ্ধ ও স্থানীয়দের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল অবৈধভাবে মেঘনা নদী থেকে বালু উত্তোলন করে আসছে। বালু উত্তোলনের ফলে স্থানীয় বাসিন্দাদের ভিটেমাটি মেঘনা গর্ভে বিলীন হওয়ার প্রতিবাদে শতাধিক বাসিন্দা একত্রিত হয়ে মেঘনা নদীতে গিয়ে বালু উত্তোলনরত অবস্থায় একটি ড্রেজার আটক করে। পরবর্তীতে স্পিডবোট যোগে একদল সন্ত্রাসী সেখানে গিয়ে এলোপাতাড়ি ছররা গুলি ছুড়ে পালিয়ে যায়। এসময় ৩ জন স্থানীয় বাসিন্দা গুলিবিদ্ধ হন।
এরপর তাদেরকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য ভোলা জেনারেল হাসপাতালে আনা হয়। গুলিবিদ্ধ শাজাহান মীর, মোহাম্মদ আলী ও শুভ বলেন, মেঘনা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের কারণে আমাদের ভিটেমাটি নদীতে ভেঙে যাচ্ছে। তারই প্রতিবাদে আজ সকাল আনুমানিক সাড়ে ১০টার দিকে আমরা শতাধিক এলাকাবাসী নদীতে গিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের সময় একটি ড্রেজারকে বাঁধা দেই এবং বালু উত্তোলন বন্ধ করি।
এরপর দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে একদল সন্ত্রাসী স্পিডবোটে এসে আমাদের ওপর এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়ে। আমাদের প্রত্যেকের শরীরে একটি করে গুলি লাগে। ভোলার ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. তৈয়বুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, গুলিবিদ্ধ হয়ে দুপুর দেড়টার দিকে ৩ জন রোগী হাসপাতালে জরুরী বিভাগে আসে।
পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষে দেখি ৩ জনেই একটি করে ছররা গুলি বিদ্ধ। তারা এখন শঙ্কামুক্ত, হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে। ভোলার পুলিশ সুপার মুহাম্মদ শরীফুল হক বলেন, আহতদের ওপর একটি গ্রুপ হামলা চালিয়েছে- এ রকম একটি খবর পেয়েছি। থানাকে বলেছি,সেখানে ফোর্স পাঠিয়েছে। মামলা হলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে..
