More

    ভোলায় শিল্প স্থাপনে কম দামে গ্যাস দেওয়ার পরিকল্পনা

    অবশ্যই পরুন

    দেশে শিল্পকারখানায় বর্তমানে প্রতি ইউনিট গ্যাসের দাম ৪০ টাকা। ক্যাপটিভ পাওয়ারে এ দাম ৪২ টাকা। কিন্তু দ্বীপ জেলা ভোলায় কেউ কারখানা স্থাপন করলে তাদের জন্য পুরোনো দাম, অর্থাৎ প্রতি ইউনিট ৩০ টাকায় গ্যাস সরবরাহের পরিকল্পনা করছে পেট্রোবাংলা। এ বিষয়ে একটি প্রস্তাব তৈরি করে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনে (বিইআরসি) পাঠানোর কাজ চলছে বলে নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে।

    এই প্রস্তাব অনুমোদন পেলে দেশে শিল্পকারখানায় দুই ধরনের গ্যাস মূল্য কার্যকর হবে। ব্যবসায়ীদের মতে, এটি একই বাজারে বৈষম্য তৈরি করবে এবং এমন সিদ্ধান্ত অযৌক্তিক। চলতি বছরের এপ্রিলে শিল্প ও ক্যাপটিভে গ্যাসের নতুন দাম নির্ধারণ করে বিইআরসি। এর আগে শিল্পে গ্যাসের দাম ছিল ইউনিটপ্রতি ৩০ টাকা। যা এখন ৪০ টাকা। ক্যাপটিভে ৩১ টাকা ৫০ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৪২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। বর্তমানে শিল্প ও ক্যাপটিভের ব্যবহারকারীরা এ নতুন দামই দিচ্ছেন। জ্বালানি বিভাগ ও পেট্রোবাংলা সূত্র বলছে, ভোলায় আবিষ্কৃত গ্যাসের বড় অংশই ব্যবহার করা যাচ্ছে না। সেখানে পাইপলাইন স্থাপনে নানা বাধা আছে। ফলে উৎপাদন সক্ষমতা থাকলেও গ্যাসের ব্যবহার আশানুরূপ হচ্ছে না।

    এই পরিস্থিতিতে সরকার দুই দিক বিবেচনা করছে- ভোলার গ্যাস ব্যবহারের পথ খুঁজতে ইতোমধ্যে মন্ত্রণালয়ে বৈঠক হয়েছে। সেখানে একটি ইউরিয়া সার কারখানা স্থাপনের প্রাথমিক পরিকল্পনা নেওয়া হয়। এর সম্ভাব্যতা যাচাই করতে সম্প্রতি ভোলার দুটি স্থান পরিদর্শন করেন অন্তর্বর্তী সরকারের তিন উপদেষ্টা— শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান এবং বাণিজ্য-বস্ত্র ও পাট উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। ভোলায় কারখানা স্থাপনে আগের দামে গ্যাস দেওয়ার বিষয়ে কেউ প্রকাশ্যে মন্তব্য না করলেও এর প্রতি সরকারের আগ্রহ রয়েছে বলে একাধিক সূত্র জানিয়েছে।

    পেট্রোবাংলার এক শীর্ষ কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, “ভোলায় কেউ শিল্প স্থাপন করলে তারা আগের দামে গ্যাস পেতে পারে। নতুন দাম সেখানে প্রযোজ্য নাও হতে পারে। মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে আমাদের পরামর্শ দিয়েছে। খুব দ্রুত আমরা বিইআরসিতে প্রস্তাব পাঠাব।” এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিইআরসি চেয়ারম্যান জালাল আহমেদ বলেন, “ভোলার শিল্পকারখানায় গ্যাসের দাম নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তবে এখনো পেট্রোবাংলা থেকে কোনো লিখিত প্রস্তাব পাইনি।”

    ভোলায় তিনটি গ্যাসক্ষেত্র আছে। সেখানে নয়টি কূপ খনন করা হয়েছে। মোট উৎপাদন সক্ষমতা দৈনিক ১৮০ মিলিয়ন ঘনফুট। কিন্তু চাহিদা কম হওয়ায় ব্যবহার হচ্ছে মাত্র ৭০ মিলিয়ন ঘনফুট। বাকি গ্যাস ব্যবহার করার কোনো সুযোগ নেই। নতুন করে আরও ১৫টি কূপ খননের পরিকল্পনা রয়েছে, যা শেষ হলে উৎপাদন ৩০০–৪০০ মিলিয়ন ঘনফুট বাড়বে। বর্তমানে একটি দেশীয় কোম্পানি ভোলা থেকে সিএনজি আকারে দৈনিক প্রায় ৩ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস এনে ব্যবহার করছে।

    আরও ৩০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস এলএনজি আকারে আনার কাজ চলছে। পাশাপাশি গ্যাস সংকট সমাধানে ভোলা-বরিশাল-ঢাকা পাইপলাইন পরিকল্পনা করা হয়েছে। ভোলা–বরিশাল অংশের প্রাক-সমীক্ষা শেষ হয়েছে। বরিশাল–ঢাকা অংশের সমীক্ষা চলছে।

    সম্পর্কিত সংবাদ

    সর্বশেষ সংবাদ

    পটুয়াখালী—৪ আসনের বিএনপি মনোনীত প্রার্থীর গণ সংযোগ

    কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি : ১১৩ পটুয়াখালী—৪ (কলাপাড়া—রাঙ্গাবালী) আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক আলহাজ...