ভোলায় শুক্রবার বাদ জুমা দুই দফা জানাজা শেষে পারিবারিক গোরস্থানে দাফন করা হয়েছে উনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান ও মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক সাবেক মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদের স্ত্রী আনোয়ারা আহমেদকে। জানাজায় বিএনপি, ইসলামী আন্দোলন ও নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের নেতাকর্মীরা অংশ নেন।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা ২১ মিনিটে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন আনোয়ারা আহমেদ। তিনি দীর্ঘদিন কিডনিজনিত রোগে ভুগছিলেন। মৃত্যুকালে বয়স ছিল ৭৬ বছর। শুক্রবার সকালে তার মরদেহ ভোলায় নিয়ে আসলে শ্রদ্ধা জানান বিভিন্ন পেশার মানুষ। দুপুরে জুমাবাদ ভোলার বাংলাবাজার ফাতেমা খানম মসজিদ কমপ্লেক্সে প্রথম জানাজা ও কোরালিয়া বাড়ির সামনের মাঠে দ্বিতীয় জানাজা শেষে পারিবারিক কবর স্থানে দাফন করা হয়। মরহুমের মরদেহ নিয়ে ভোলায় আসেন এক মাত্র মেয়ে ডাক্তার তাসলিমা জামান মুন্নী, জামাতা ডা. তৌহিদুরজামান তুহীন।
৫ ভাই, ২ বোন ও স্বজনদের পক্ষে ছোটভাই পিন্টু তালুকদার ও ডা. তৌহিদুরজামান তুহীন জানাজাকালে বক্তব্য রাখেন। ১৯৬৪ সালে তোফায়েল আহমেদের সঙ্গে বিয়ে হয় আনোয়ারার। তালুকদার বাড়ির সফিজুল ইসলাম তালুকদারের বড় মেয়ে তিনি।
এদিকে জানাজায় অংশ নেন জেলা পরিষদ সাবেক চেয়ারম্যান ও নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি আব্দুল মমিন টুলু, আওয়ামী লীগ জাতীয় পরিষদ সদস্য ও ফুটবল ফেডারেশনের সাবেক সভাপতি হামিদুল হক বাহালুল, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার দোস্ত মাহামুদ, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক সাবেক পৌর কাউন্সিলর বশির হাওলাদার, দৌলতখান উপজেলা সাবেক চেয়ারম্যান মামুনুর রশিদ বাবুল, তজুমদ্দিন উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন দুলাল,
বোরহানউদ্দিন উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ভোলা-১ আসনের প্রার্থী ওবাদুর রহমান বিন মোস্তফা, সাবেক পৌর প্যানেল মেয়র সালাউদ্দিন লিংকন, বোরহানউদ্দিন উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মো. রাসেল মিয়া, জেলা বিএনপি নেতা সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আবু নোমান মো. শফিউল্লাহ, স্থানীয় ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি শাহেআলম (আলম মেম্বার), স্থানীয় যুবদল নেতা জাকির হোসেনসহ জেলা ও বিভিন্ন উপজেলার রাজনৈতিক দলের নেতারা।
