রাজধানীর মহাখালীর কড়াইল বস্তিতে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ১৯টি ইউনিট। তাদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারাও। তবে পাইপ কেটে যাওয়া এবং পানির কিছুটা সংকট থাকায় আগুন নিয়ন্ত্রণে বেগ পেতে হচ্ছে ফায়ার সার্ভিসের।
আজ মঙ্গলবার রাত সাড়ে আটটার দিকে সরেজিমেন দেখা যায়, কড়াইল বস্তির বউবাজার অংশের কুমিল্লা পট্টি, বরিশাল পট্টি ও ‘ক’ ব্লক এলাকায় আগুন লেগেছে। আগুন দাউ দাউ করে জ্বলছে।
ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা আগুন নেভাতে কাজ করছেন। তাঁদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারাও। আর যাঁদের ঘরবাড়ি পুড়ে গেছে, তাঁরা বউবাজার এলাকার খামারবাড়ি মাঠে অবস্থান করছেন। লেলিহান শিখা ছড়িয়ে পড়েছে আকাশে। লেলিহান শিখা ছড়িয়ে পড়েছে আকাশে।
এর আগে বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে কড়াইল বস্তিতে আগুন লাগার কথা জানানো হয়। আগুন নেভাতে তাৎক্ষণিক ফায়ার সার্ভিসের ১১টি ইউনিট কাজ শুরু করে। পরে আরও আটটি ইউনিট গিয়ে আগুন নেভানোর কাজে যোগ দেয়। ফায়ার সার্ভিসের অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স বিভাগের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, ‘আগুন নিয়ন্ত্রণে ১৯টি ইউনিট নিয়ে কাজ করছি। মাঝেমধ্যে পাইপ কেটে যাচ্ছে। ফলে পুরো সক্ষমতা নিয়ে কাজ করা সম্ভব হচ্ছে না; চেষ্টা করে যাচ্ছি। এই মুহূর্তে আগুনের উত্তর–পূর্ব দিক নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টা করছি। এই দিকটার নিয়ন্ত্রণ নিতে পারলে দ্রুতই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হবে।’
১ / ১২ ফায়ার সার্ভিস পানি ছিটিয়ে গেলেও আগুনের শিখা ছড়িয়ে পড়ছিল চারপাশে। আগুনে পুড়ছে ঘর, দূর থেকে তা দেখছেন বস্তির বাসিন্দারা। আগুন লাগার পর ঘরের চালের টিন খুলে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেন কেউ কেউ। আগুন নিয়ন্ত্রণে ছিটানো হচ্ছে পানি। ফায়ার সার্ভিসের ১৬টি ইউনিট কড়াইল বস্তির আগুন নেভাতে যায়। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের সঙ্গে আগুন নেভানোর কাজে হাত লাগান বস্তির বাসিন্দারাও পুড়ছে টিনশেড ঘর। কড়াইল বস্তির হাজারো ঘরের প্রায় সবই টিন-কাঠের।
ফায়ার সার্ভিস পানি ছিটিয়ে গেলেও আগুনের শিখা ছড়িয়ে পড়ছিল চারপাশে। দাউ দাউ করে পুড়ে যাচ্ছে কড়াইল বস্তির ঘর। আগুনে পুড়ছে ঘরের সম্বল, দূরে দাঁড়িয়ে দেখা ছাড়া কিছুই করার নেই বস্তির এই বাসিন্দাদের। আগুন জ্বলছে কড়াইল বস্তিতে। আজ বিকেলে রাজধানীর সবচেয়ে বড় বস্তিটিতে আগুন লাগে। আগুন এক পাশে লাগার পরপরই কড়াইল বস্তির বাসিন্দারা তাঁদের দরকারি জিনিসপত্র সরিয়ে নিতে শুরু করেন। কড়াইল বস্তিতে আগুন লাগার পর নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে এই ছোটা। ফায়ার সার্ভিস পানি ছিটিয়ে গেলেও আগুনের শিখা ছড়িয়ে পড়ছিল চারপাশে।
পানির সংকটের বিষয়ে তাজুল ইসলাম বলেন, ‘উত্তর–পূর্ব দিকে পানির কিছুটা সংকট রয়েছে। ফলে কিছুটা বেগ পেতে হচ্ছে। তবে বিপরীত পাশের লেক থাকায় পূর্ণ সক্ষমতা দিয়ে কাজ চলছে। আমরা কাজ করছি। আশা করছি, অল্প সময়ের মধ্যেই ভালো সংবাদ দিতে পারব।’ আগুনে তাৎক্ষণিকভাবে কেউ হতাহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। কীভাবে আগুন লেগেছে, সে বিষয়েও ধারণা পাওয়া যায়নি।
