More

    ঝালকাঠি ইকো পার্কের মাটি টলারে করে লুট, ইটভাটার চক্রের হাতে ধ্বংস হচ্ছে ইর্কো পার্ক

    অবশ্যই পরুন

    ধানসিঁড়ি নদীর মোহনা ও সুগন্ধা নদীর তীরে গড়ে ওঠা ঝালকাঠি ইকো পার্ক এখন দুই বিপরীতমুখী কার্যক্রমের শিকার। একদিকে জেলা প্রশাসন পার্ক রক্ষা ও উন্নয়নের জন্য বালি দিয়ে নিচু জায়গা ভরাট করছে, অন্যদিকে ইটভাটার একটি শক্তিশালী চক্র রাতের অন্ধকারে টলারে করে সেই মাটিই অবৈধভাবে কেটে নিয়ে যাচ্ছে।

    প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রতিদিন ভোর ৩টা থেকে ভোর ৫টার মধ্যে ১০-১৫টি ট্রলার এসে ইকো পার্কের পাড় থেকে মাটি কেটে নিয়ে যায়। এতে পার্কের ভূমিরূপ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এবং নদীতীরের ভাঙনের ঝুঁকি বাড়ছে। পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এই ইকো পার্কের এমন ধ্বংসযজ্ঞে উদ্বিগ্ন

    মাটি কাটা পরিবেশ সংরক্ষণ আইন-১৯৯৫ এবং খনিজ সম্পদ উন্নয়ন আইনের সরাসরি লঙ্ঘন। এছাড়া নদীতীর কাটা নৌপথ রক্ষণাবেক্ষণ আইনেরও লঙ্ঘন।
    স্থানীয়রা প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানিয়েছেন, অবিলম্বে এই অবৈধ মাটি পাচার চক্রের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হোক এবং দোষীদের গ্রেফতার করা হোক। একই সঙ্গে ঝালকাঠি ইকো পার্ককে রক্ষার জন্য স্থায়ী নজরদারি ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানানো হয়েছে।

    ধানসিঁড়ি-সুগন্ধা নদীতীরের এই ইকো পার্ক শহরের ফুসফুস হিসেবে কাজ করে। এভাবে মাটি কাটা চলতে থাকলে পুরো এলাকা পরিবেশ বিপর্যয়ের মুখে পড়বে। তারা অবিলম্বে এই চক্রের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।

    বিষয়টি নিয়ে ঝালকাঠির জেলা প্রশাসক মোঃ মমিন উদ্দিন সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, “এ বিষয়ে আমি এতদিন অবগত ছিলাম না। আপনারা যেহেতু জানালেন, আমি বিষয়টি গুরুত্বের সাথে দেখব এবং দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।”

    সম্পর্কিত সংবাদ

    সর্বশেষ সংবাদ

    যমুনা ও সচিবালয় এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ

    আগামী শনিবার (৬ ডিসেম্বর) থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনা এবং বাংলাদেশ সচিবালয়সহ পার্শ্ববর্তী...