চারটি হত্যা মামলায় উচ্চ আদালত থেকে জামিন পেয়েছেন চট্টগ্রামের আলোচিত সন্ত্রাসী সাজ্জাদ হোসেন ওরফে ‘ছোট সাজ্জাদ’ ও তার স্ত্রী শারমিন তামান্না। গত বছরের সেপ্টেম্বরের শেষ দিকে হাইকোর্ট থেকে তারা জামিন পেলেও বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে, সম্প্রতি জামিন আদেশ চট্টগ্রামের আদালতে পৌঁছানোর পর। এর আগে, গত মাসে তাদের দুজনকে চট্টগ্রাম কারাগার থেকে দুটি ভিন্ন কারাগারে স্থানান্তর করা হয়। বর্তমানে সাজ্জাদ রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে এবং স্ত্রী তামান্না ফেনী জেলা কারাগারে রয়েছেন।
আদালত সূত্র জানায়, ২০২৪ সালের ১৯ আগস্ট চান্দগাঁও থানার দোকান কর্মচারী শহিদুল ইসলাম হত্যা মামলায় গত ১৫ সেপ্টেম্বর সাজ্জাদ ও তামান্নাকে জামিন দেন হাইকোর্ট। একই দিন হাইকোর্টের একই বেঞ্চ পাঁচলাইশ থানার ওয়াসিম আকরাম হত্যা মামলায় এ দম্পতিসহ তিনজনকে জামিন দেন। এক সপ্তাহ পর, ২২ সেপ্টেম্বর একই বেঞ্চ পাঁচলাইশ থানার দোকান কর্মচারী মো. ফারুক হত্যা মামলায় এবং চান্দগাঁও থানার আফতাব উদ্দিন হত্যা মামলায়ও তাদের জামিন দেওয়া হয়।
আফতাব হত্যা মামলাটি ছাড়া বাকি তিনটি মামলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে গুলিতে নিহত হওয়ার ঘটনায় দায়ের করা। সাজ্জাদ ও তার স্ত্রী গ্রেফতার হওয়ার পর পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এসব মামলায় আদালত তাদের গ্রেফতার দেখান। চারটি মামলাতেই রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত জামিন দেয়া হয়েছে। চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সরকারি কৌঁসুলি রায়হানুল ওয়াজেদ চৌধুরী বলেন, সাজ্জাদ ও তার স্ত্রী ৪টি মামলায় উচ্চ আদালত থেকে জামিন পেয়েছেন।
জামিন আদেশ স্থগিতের বিষয়ে হাইকোর্টের অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেলের সঙ্গে কথা হয়েছে। রাষ্ট্রপক্ষ এ বিষয়ে পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ নেবে। যদিও তাদের বিরুদ্ধে আরও একাধিক মামলা থাকায় আপাতত কারাগার থেকে মুক্তি পাচ্ছেন না। পুলিশ ও আদালত সূত্র জানায়, সাজ্জাদ ১০টি হত্যাসহ মোট ১৯টি মামলার আসামি। তার স্ত্রীর বিরুদ্ধেও একাধিক হত্যাসহ আটটি মামলা রয়েছে।
গত ১৫ মার্চ ঢাকার একটি শপিং মল থেকে সাজ্জাদকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘বান্ডিল বান্ডিল টাকা ছুড়ে’ সাজ্জাদকে জামিনে মুক্ত করার কথা উল্লেখ করে তামান্নার একটি বক্তব্যের ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। এরপর তাকেও গ্রেফতার করে পুলিশ।
