কাঁঠালিয়ায় জুলাই বিপ্লবে ন্যায় ও সাহসিকতার প্রতীক শহীদ ওসমান হাদীর স্মরণে আয়োজন করা হয়েছে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল। উক্ত অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয় ঝালকাঠির কাঁঠালিয়া উপজেলার শৌলজালিয়া ইউনিয়নের বিনাপানি বাজারে। স্থানীয় ছাত্র-জনতা এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দের নিমন্ত্রণে এই স্মরণসভাটি নির্ধারিত হয় যেখানে বিশেষ ভাবে গুরুত্বারোপ করা হয় শহীদ ওসমান হাদীর সংগ্রাম এবং আত্মত্যাগকে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে শহীদ ওসমানের স্মৃতিচারণ করেন এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। উপস্থিত ছিলেন উল্লেখযোগ্য নেতা শহিদুল ইসলাম, যিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়াও কাঁঠালিয়া উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর সিনিয়র নেতৃবৃন্দও উপস্থিত ছিলেন। মাওলানা জালাল উদ্দীন ও জুলফিকার আলী যারা বাংলাদেশ ইসলামী আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত, এবং শৌলজালিয়া ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীতে সভাপতি মো. মামুন হোসেন ও সদস্য সচিব এস এম জামালও ছিলেন। এই মহতী অনুষ্ঠানটি স্থানীয় শিক্ষার্থী এবং বিপুল সংখ্যক জনতা উপস্থিত থেকে সফল ও প্রাণবন্ত করে তোলেন।
বক্তাদের অনেকেই স্মরণ সভায় শহীদ ওসমান হাদীকে এক অকুতোভয় যোদ্ধা হিসেবে চিত্রিত করেন যিনি ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেছেন। তার একক প্রচেষ্টায় সে দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা এবং আধিপত্যবাদী রাজনীতির বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে শাহাদাত বরণ করেছেন। বক্তারা বলেন যে ওসমান হাদীকে শহীদ করে তার আদর্শকে বিলীন করা যাবে না, বরং তার আত্মত্যাগ আরও অনেক তরুণকে উদ্বুদ্ধ করবে দেশের জন্য লড়াই করতে। তারা আরও বলেন যে তার মত সাহসী আত্মত্যাগ দেশের কোটি কোটি তরুণদের মাঝে সাহসিকতার চেতনা জাগ্রত করেছে এবং আজ বাংলার প্রতিটি ঘরে এমন অনেক ওসমান হাদী তৈরি হচ্ছে যারা তার পদাঙ্ক অনুসরণ করছে।
অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে সামগ্রিকভাবে দোয়া তথা মোনাজাতের মাধ্যমে শহীদ ওসমান হাদীর আত্মার মাগফেরাত এবং দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনা করা হয়। এই বিশেষ দোয়া পরিচালনা করেন মাওলানা জালাল হোসেন। তিনি বিশেষ করে জুলাই বিপ্লবের শহীদ বীরযোদ্ধাদের আত্মার শান্তি এবং তাদের আহত সহযোগীদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেন। এসব আয়োজনের মাধ্যমে কাঁঠালিয়ার মানুষ তার প্রতি অকৃত্রিম শ্রদ্ধার নিদর্শন দেন, যা তাদের ইতিহাস এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য এক অনন্য প্রেরণাও বটে।
