মাদারীপুর প্রতিনিধি: হাড়কাঁপানো কনকনে শীতের দাপটে কাঁপছে মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলা। হিমেল হাওয়া আর ঘন কুয়াশায় ঢেকে রয়েছে পুরো এলাকা। এতে জনজীবনে চরম ভোগান্তি নেমে এসেছে।
শুক্রবার সকাল থেকেই ঘন কুয়াশা ও প্রচণ্ড শীতে খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ পড়েছেন মহাবিপাকে। শীতের কারণে অনেকেই কাজে যেতে পারছেন না। সড়ক ও হাট-বাজারে যানবাহন এবং মানুষের চলাচল উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গেছে। বিশেষ করে নিম্নবিত্ত মানুষ শীতের তীব্রতায় জবুথবু হয়ে পড়েছেন।
অন্যদিকে জীবিকার তাগিদে তীব্র শীত উপেক্ষা করেই সকাল থেকে কাজে বের হচ্ছেন শ্রমজীবী মানুষ। ভ্যান ও রিকশাচালকদের ভাষ্য, শীতের কারণে ভোরের দিকের কাজ করা খুবই কষ্টসাধ্য হয়ে উঠেছে।
শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শিশু ও বয়স্কদের মধ্যে ঠান্ডাজনিত রোগের প্রকোপও বেড়েছে। নিউমোনিয়া, সর্দি-কাশি ও হাঁপানির রোগী বাড়ায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগীর সংখ্যাও বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
কুয়াশাচ্ছন্ন পরিবেশ, শিশিরভেজা প্রকৃতি ও কনকনে ঠান্ডা স্থানীয়দের স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় ব্যাঘাত সৃষ্টি করছে। সন্ধ্যার পর শীতের তীব্রতা আরও বেড়ে যাওয়ায় হাট-বাজারে শীতবস্ত্রের চাহিদা লক্ষণীয়ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।
স্থানীয়দের মতে, সাধারণত ২০ ডিসেম্বরের পর শীত বাড়তে দেখা যায়। তবে গত কয়েক বছর ধরে আগাম শীতের আগমন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এরই মধ্যে নতুন ধান ঘরে ওঠায় গ্রামীণ জনপদে নবান্নের উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। পিঠা-পুলি আর নতুন ধানের সুবাসে বাজারগুলোতে জমে উঠছে ভোজনরসিকদের আড্ডা।
উপজেলার এনায়েতনগর এলাকার ফয়সাল, সজিব ও আলাউদ্দিনসহ একাধিক নিম্নবিত্ত ব্যক্তি জানান, শীতবস্ত্রের অভাবে তারা নিয়মিত কাজে যেতে পারছেন না। শীত নিবারণের জন্য অনেকেই আগুন জ্বালিয়ে নিজেদের গরম রাখার চেষ্টা করছেন।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাইফ-উল-আরেফিন বলেন, “এই শীতে নিম্নবিত্ত মানুষের পাশে প্রশাসন রয়েছে এবং আগামীতেও থাকবে।”
