বরিশালের আগৈলঝাড়ায় এক প্রভাবশালী ব্যক্তি ও তার কয়েক সহযোগির বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, নারী কেলেংকারি, চাঁদাবাজি, তাস, জুয়া, মাদক ব্যবসা ও সাধারন মানুষদের বিভিন্ন রকমের হয়রানি, নির্যাতনের হাত থেকে রক্ষা পেতে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে এলাকাবাসী। লিখিত অভিযোগ ও সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, উপজেলার পশ্চিম বাগধা গ্রামের মৃত হোসেন মোল্লার ছেলে মো. কাওছার মোল্লা দীর্ঘদিন যাবৎ এলাকার নীরিহ সাধারন মানুষদের ফাঁদে ফেলে প্রশাসনের নাম ভাঙ্গিয়ে এলাকার সাধারন মানুষকে হয়রানি, ক্ষমতার অপব্যবহার করে কৌশলে অর্থ হাতিয়ে নেয়া, তাস, জুয়া খেলা, মাদক ব্যবসা, এমনকি নারী কেলেংকারির বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। তার এসব কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে এলাকাবাসী গত ৮ জুন হাজী শাহজাহানের সভাপতিত্বে শালিশ বৈঠকের আয়োজন করে। ওই শালিশ বৈঠকে অভিযুক্ত কাওছার মোল্লাকে পশ্চিম বাগধা এলাকায় অবাধে দিনে বা রাতে প্রবেশ করতে পারবে না বলে সিদ্ধান্ত নেয়। তার বিরুদ্ধে রয়েছে একাধিক নারী কেলেংকারির ঘটনা। এছাড়া স্থানীয় মোকলেচ সরদারসহ কাওছারের কয়েক সহযোগির বিরুদ্ধেও বিভিন্ন অভিযোগ তোলেন ভুক্তভোগী ও এলাকাবাসী। গত বছরের ১৭ মে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ জুয়ার আসর থেকে কাওছার মোল্লাসহ তার কয়েক সহযোগিকে গ্রেফতার করে। ওই ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করে। যা বর্তমানে মামলাটি বিচারাধীন। সরেজমিন স্থানীয় হাজী শাহজাহান খান, ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ সভাপতি রবীন্দ্রনাথ সমদ্দার, ইসমাইল মিয়া, মোসারফ সরদার, খোকন মীর, আঃ ওয়াদুদ খান, মোরশেদ তালুকদার, এমদাদুল সরদার, রুবেল সরদারসহ অর্ধশতাধিক এলাকাবাসী অভিযোগের সত্বত্তা স্বাকীর করে কাওছার ও তার সহযোগিদের অপকর্মরে বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সু-দৃষ্টি কামনা করেন। এব্যাপারে অভিযুক্ত কাওছার মোল্লার কাছে একাধিকবার ফোন দিলেও ফোন না ধরায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। এবিষয়ে অফিসার ইনচার্জ মোঃ আফজাল হোসেন জানান, এলাকাবাসী অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।