বরিশালের আগৈলঝাড়ায় রেবা বেগম নামে এক গৃহবধূকে যৌতুকের জন্য নির্যাতন করে গুরুতর আহত করেছে স্বামী আসাদুল সরদার। প্রথম স্ত্রী রেখে যৌতুক নিয়ে দ্বিতীয় বিয়ে করেছেন স্বামী। এ ঘটনায় রেবা বেগম বাদী হয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। এলাকাবাসী ও থানা সূত্রে জানোগেছে, উপজেলার বাগধা ইউনিয়নের চাঁদত্রিশিরা গ্রামের দেলোয়ার সরদারের ছেলে আসাদুল সরদার তিন বছর পূর্বে পার্শ্ববর্তী কোটালীপাড়া উপজেলার ভুয়ারপাড় গ্রামের হারেজ পাইকের মেয়ে রেবা বেগমকে সামাজিক ভাবে বিয়ে করেন।
বিয়ের পর স্বামী আসাদুল গাড়ীর চালক ও রেবা বেগম গার্মেন্টসে চাকুরী নিয়ে ঢাকায় বসবাস শুরু করেন। বিয়ের একবছর যেতে না যেতেই রেবাকে যৌতুকের জন্য চাপ দিয়ে নির্যাতন শুরু করেন স্বামী আসাদুল। যৌতুক দিতে না পারায় প্রতিনিয়ত শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন সইতে হচ্ছে রেবাকে। করোনা ভাইরাসের কারনে স্বামী আসাদুল ড্রাইভারী কাজ ছেড়ে বাড়ি চলে যান। আর স্ত্রী রেবা ঢাকায় গার্মেন্টসে চাকুরী করে স্বামীর জন্য বাড়িতে টাকা পাঠাতেন। এরপরেও স্ত্রী রেবার কাছে দুই লক্ষ টাকা যৌতুক দাবী করে স্বামী আসাদুল সরদার। যৌতুকের দুই লক্ষ টাকা দিতে না পারলে আসাদুল দ্বিতীয় বিয়ে করে সেখান থেকে যৌতুক আনার হুমকি দেয় রেবাকে।
সোমবার হুমকি দেওয়ার পরে রেবা বুধবার বিকেলে ঢাকা থেকে বাড়ি এসে স্বামীর ঘরে উঠতে গেলে তাকে বাধা দেয় স্বামী আসাদুল। দাবীকৃত যৌতুকের টাকা দিতে না পারায় রেবাকে ঘরে ঢুকতে না দিয়ে শারীরিক নির্যাতন করে গুরুতর আহত করে স্বামী আসাদুল সরদার। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করে। আসাদুল সরদার যৌতুক নিয়ে অন্য স্থানে কয়েকদিন আগে দ্বিতীয় বিয়ে করেছেন বলে জানান রেবা বেগম। এ ঘটনায় প্রথম স্ত্রী রেবা বেগম বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার বিকেলে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। থানার এসআই শাহজাহান মিয়া অভিযোগ পাওয়ার সত্যাতা স্বীকার করে বলেন, তদন্ত শেষে আইনগত ব্যাবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান।