জনগণের ভোটাধিকার ও কার্যকর গণতন্ত্রের জন্য দেশব্যাপী গণস্বাক্ষর সংগ্রহে বগুড়ায় অবস্থান করছে ‘হানিফ বাংলাদেশি’। বুধবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে জেলা প্রশাসক কার্যালয় চত্বরে কার্যক্রম শুরু করে শহরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে স্বাক্ষর সংগ্রহ করেন।
গণস্বাক্ষর সংগ্রহের সময় হানিফ বাংলাদেশির মাথায় জাতীয় পতাকা, মুখে বাংলাদেশের মানচিত্র সম্বলিত মাস্ক, গলায় ও হাতে গণস্বাক্ষরের প্ল্যাকার্ড দেখা যায়। তিনি নগরীর সাতমাথা, জেলা পরিষদ চত্বর, প্রেসক্লাব চত্বরসহ নানা জায়গা ঘুরে স্বাক্ষর সংগ্রহ করেন।
গলায় ঝোলানো প্ল্যাকার্ডে লেখা আছে, ‘স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে ভোটাধিকার ও কার্যকর গণতন্ত্রের দাবিতে দেশব্যাপী মার্চ ফর ডেমোক্রেসি (গণতন্ত্রের জন্য অভিযাত্রা)।’
গত বছরের ১৮ ডিসেম্বর টেকনাফ থেকে গণতন্ত্রের জন্য এই গণস্বাক্ষর সংগ্রহ অভিযান শুরু করেন হানিফ বাংলাদেশি। ৬৮ দিনের মাথায় মঙ্গলবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ৫৩ জেলা ঘুরে বগুড়ায় পৌঁছান তিনি। ৬ মার্চ পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় গণস্বাক্ষর সংগ্রহের মধ্য দিয়ে তার এ কর্মসূচি শেষ হবে।
এ বিষয়ে হানিফ বাংলাদেশি বলেন, ‘৫৪ তম জেলা হিসেবে বগুড়ায় গণস্বাক্ষর সংগ্রহ শুরু করি। এ উদ্যোগে নানা শ্রেণি–পেশার মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত সাড়া মিলছে। এ পর্যন্ত ১৮ হাজারের বেশি মানুষ গণতন্ত্রের জন্য গণস্বাক্ষর সংগ্রহ হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘স্বাধীনতার ৫০ বছরে নানা সময় জনগণের ভোটাধিকার কমবেশি লুণ্ঠিত হয়েছে। গণতন্ত্র, বাকস্বাধীনতা সংকুচিত হয়েছে। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে জনগণের প্রত্যাশা, ভোটাধিকার ও কার্যকর গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ। ভোটাধিকার জনগণের হাতে না থাকায় দুর্নীতি, দুর্বৃত্তায়ন মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। দেশের প্রতিটি জেলা ও উপজেলা ঘুরে গণস্বাক্ষর সংগ্রহে মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত সাড়া মিলছে।
এরআগে গত অক্টোবরে সীমান্তে হত্যা বন্ধের দাবিতে প্রতীকী লাশ নিয়ে ঢাকা থেকে কুড়িগ্রামের অনন্তপুর সীমান্ত অভিমুখে একক পদযাত্রা কর্মসূচি শেষ করেন ‘হানিফ বাংলাদেশি’।
হানিফ বাংলাদেশীর প্রকৃত নাম মোহাম্মদ হানিফ। বাড়ি নোয়াখালীর সুধারাম উপজেলার নিয়াজপুর ইউনিয়নের জাহানাবাদ গ্রামে। নানা কর্মসূচির কারণে মোহাম্মদ হানিফ দেশজুড়ে ‘হানিফ বাংলাদেশি’ নামে পরিচিতি পান।