ভোলার বিচ্ছিন্ন মনপুরা উপজেলার চারটি ইউনিয়নের মধ্যে প্রথম ধাপে ২ নং হাজিরহাট ও ৪ নং দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়নে ভোট গ্রহনে তফসিল ঘোষনা করে নির্বাচন কমিশন।এতে দুই ইউনিয়নের আ’লীগের সাবেক চেয়ারম্যানসহ নৌকা পেতে মরিয়া দশ প্রার্থী। তবে প্রার্থীরা প্রত্যেকে নৌকার মাঝি হতে কেন্দ্রে লবিং সহ ভোলা-৪ (চরফ্যাসন-মনপুরা) আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক উপমন্ত্রী আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকবের কাছে ধরনা দিচ্ছে প্রতিনিয়ত।দুই ইউপি নির্বাচনে আ’লীগ দলীয় দশ প্রার্থীরা হলেন, ২ নং হাজিরহাট ইউনিয়নের প্রার্থী সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আ’লীগের সাবেক সম্পাদক শাহরিয়ার চৌধুরী দীপক,উপজেলা আ’লীগের সহ-সভাপতি একেএম শাহজাহান মিয়া, আ’লীগের যুগ্ন সম্পাদক মোশারেফ হোসেন মজনু ফরাজী,উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি নিজাম উদ্দিন হাওলাদার ও উপজেলা যুবলীগের সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনির।৪নং দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়নের প্রার্থী সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আ’লীগের যুগ্ন সম্পাদক অলি উল্লা কাজল, ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর হাওলাদার,ইউনিয়ন আ’লীগের সম্পাদক শাহে আলম ব্যাপারী, উপজেলা স্বেচ্ছসেবকলীগের যুগ্নসম্পাদক রফিকুল ইসলাম ও ইউনিয়ন আ’লীগ নেতা অহিদুর রহমান।এদিকে কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অনুযায়ী গত ৬ জুলাই (শনিবার) সকালে দক্ষিণ সাকুচিয়া ও বিকালে হাজিরহাট ইউনিয়নে আ’লীগ দলীয় প্রার্থী নির্ধারন করতে ইউনিয়ন আ’লীগ ও উপজেলা আ’লীগের সাথে মতবিনিময় করে প্রার্থী নির্ধারনের কাজ শেষ করেছেন বলে জানিয়েছেন উপজেলা আ’লীগের দপ্তর সম্পাদক মোঃ আলমগীর হোসেন।
এদিকে আ’লীগের প্রার্থী নির্ধারনের মতবিনিময় সূত্রে জানা যায়, হাজিরহাট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদে সদ্য সাবেক আ’লীগ দলীয় চেয়ারম্যান শাহরিয়ার চৌধুরীকে ফের আ’লীগের প্রার্থী করতে মত দেন ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি ও সম্পাদক সহ ৯টি ওয়ার্ডের আ’লীগের সভাপতি ও সম্পাদকরা।এদিকে দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়নে আ’লীগের সম্পাদকহর ৯টি ওয়ার্ডের আ’লীগের সভাপতি ও সম্পাদক আ’লীগ দলীয় প্রার্থী হিসাবে সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব অলি উল্লা কাজলকে ফের দলীয় প্রার্থীর পক্ষে মত দেন। তবে ওই ইউনিয়নের আ’লীগের সভাপতি প্রার্থী হওয়ায় তিনি মত দেননি।হাজিরহাট ইউনিয়নের আ’লীগের সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান শাহরিয়ার চৌধুরী দীপক জানান, ২০০১ সালে আ’লীগের সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করার সময় নির্যাতন চালায় বিএনপি ও জামায়াত।গত ইউপি নির্বাচনে আ’লীগের দলীয় মনোনয়ন পেয়ে বিএনপি’র প্রার্থীকে বিপুল ভোটে পরাজিত করে ইউপি চেয়ারম্যান হই।পরে জাতীয় নির্বাচনের পর গত উপজেলা নির্বাচনে তৃণমূলের ভোটে আ’লীগের দলীয় প্রার্থী হিসাবে প্রথম হয়ে কেন্দ্রে আমার নাম যায় কিন্তু কেন্দ্রীয় আ’লীগের মনোনয়ন বোর্ড আমাকে মনোনয়ন দেননি।তারপরও আ’লীগ সভানেত্রী প্রধারমন্ত্রীর উপর আস্থা রেখে বিদ্রোহী প্রার্থী হইনি। পূর্বেরমত ইউপি নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও দলীয় মনোনয়ন বোর্ড নৌকা প্রতীক দিবেন বলে আশাবাদ ব্যাক্ত করেন।এদিকে অপর চার প্রার্থী নিজেদেরকে ত্যাগী নেতাকর্মী মনে করে নৌকা প্রতীক পাবেন বলে আশাবাদ ব্যাক্ত করেন।এদিকে দক্ষিণ সাকুচিয়া আ’লীগের সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান অলি উল্লা কাজল জানান, ২০০১ সালে নির্বাচনের পর মামলা- হামলা করে বিএনপি ও জামায়াত।দল ক্ষমতায় আসার পর একবার ও পরে দলীয় প্রতীকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হই। এবারও প্রধানরমন্ত্রী শেখ হাসিনা নৌকা প্রতীক দিবেন বলে তিনি আশাবাদ ব্যাক্ত করেন। এছাড়াও অপর চার প্রার্থী ত্যাগ নির্যাতনের কথা তুলে ধরে দলীয় মনোনয়নের আশা করেন।উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, মনোনয়ন দাখিলের শেষ তারিখ ১৯ মার্চ। মনোনয়ন বাছাইয়ের শেষ তারিখ ১৯ মার্চ। প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ২৪ মার্চ ও ভোট হবে ১৯ এপ্রিল।মনপুরা উপজেলা আ’লীগের সম্পাদক মোঃ জাকির হোসেন জানান, ৮ জুলাই সোমবার দুই ইউনিয়ন থেকে সম্ভাব্য আ’লীগের প্রার্থীর তালিকা জেলায় পাঠানো হয়েছে। জেলার কার্যক্রম শেষে কেন্দ্রে পাঠানো হবে।এদিকে কেন্দ্রীয় বিএনপি স্থানীয় নির্বাচনে অংশগ্রহন করবেন না তাই ইউপি নির্বাচনে মনপুরা উপজেলার হাজিরহাট ও দক্ষিণ সাকুচিয়া প্রার্থী নেই বলে জানিয়েছেন উপজেলা বিএনপির বিবাদমান দুই গ্রুপের একাধিক নেতা।তবে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ (চরমোনাই) হাজিরহাট ইউনিয়ন থেকে মাও. মোঃ শিহাব উদ্দিন ও দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়ন থেকে মাও. মোঃ ইলিয়াছ প্রার্থী বলে নিশ্চিত করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর মনপুরা উপজেলা সভাপতি মুফতী এনায়েত উল্লা নুরনবী।