More

    গাছের সঙ্গে বেঁধে স্কুলছাত্রকে নির্যাতন!

    অবশ্যই পরুন

    বরগুনার তালতলীতে গাছের সঙ্গে বেঁধে নাজমুল নামে ষষ্ঠ শ্রেণির এক স্কুলছাত্রকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে সুলতান মাতুব্বর নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। আহত ছাত্রকে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১২ মার্চ) সন্ধ্যায় বরগুনার তালতলী উপজেলার উত্তর ঝাড়াখালী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

    জানা গেছে, তালতলী উপজেলার কড়াইবাড়িয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ নলবুনিয়া গ্রামের ছালাম তালুকদার দিনমজুরের কাজ করেন এবং স্ত্রী নাজমা বেগম জর্ডান থাকেন। ওই দম্পতির একমাত্র ছেলে নাজমুল উত্তর ঝাড়াখালী গ্রামের নানা নুরু মাতুব্বরের বাড়িতে থেকে আলীর বন্দর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ষষ্ঠ শ্রেণিতে লেখাপড়া করে। বৃহস্পতিবার বিকালে নানা বাড়ির পাশে কবির মিয়ার জাল সেলাই করছিল নাজমুল। এ সময় একই বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র প্রতিবেশী তামিম এসে নাজমুলকে পেছন দিকে থেকে কিল ঘুষি মারতে থাকে। নাজমুল তা প্রতিরোধ করে। এ নিয়ে দু’জনের মধ্যে মারামারি হয়। এ ঘটনার ঘণ্টাখানেক পর তামিমের দাদা সুলতান মাতুব্বর এসে ওই বাড়ি থেকে নাজমুলকে ধরে নিয়ে নিম গাছের সঙ্গে বেঁধে পিটিয়ে যখম করে। খবর পেয়ে নাজমুলের মামি শাহিনুর ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে উদ্ধারের চেষ্টা করে। এ সময় সুলতান মাতুব্বর তাকেও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ডান হাতের একটি আঙুল কেটে দেয়। সুলতার মাতুব্বরের মারধরে নামজুলের শরীরের বিভিন্ন স্থানে রক্তাক্ত যখম হয়। পরে স্বজনরা নামজুল ও শাহিনুরকে উদ্ধার করে বৃহস্পতিবার রাতে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। এ ঘটনায় স্কুল ছাত্র নাজমুলের ফুফু রোশনা আক্তার বাদী হয়ে সুলতানকে প্রধান অভিযুক্ত করে পাঁচ জনের নামে তালতলী থানায় অভিযোগ দিয়েছেন

    আহত নাজমুল বলে, ‘সুলতান মাতুব্বর গাছের সঙ্গে বেঁধে আমাকে লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর করেছেন। আমাকে রক্ষায় মামি শাহিনুর বেগম এগিয়ে এরে তাকেও কুপিয়ে আহত করেছেন তিনি।’শাহিনুর বেগম বলেন, ‘নাজমুলকে রক্ষায় আমি এগিয়ে গেলে আমার ডান হাতের আঙুল কেটে দিয়েছেন।’তবে সুলতান মাতুব্বর শিশু নাজমুলকে মারধরের কথা অস্বীকার করে বলেন, ‘আমার নাতি তামিমের সঙ্গে নাজমুলের মারামারি হয়েছে। তা ছাড়িয়ে দিয়েছি মাত্র।’ তবে নাজমুলের শরীরের আঘাতের চিহ্ন কিসের এমন প্রশ্নের কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি তিনি আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিক্যাল অফিসার মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘শিশু নাজমুলের বাম পায়ের রান ও পেছনসহ সারা শরীরে রক্তাক্ত যখম আছে এবং শাহিনুরের ডান হাতের আঙ্গুল কাটার চিহ্ন রয়েছে। তাদের যথাযথ চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।’

    তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান মিয়া বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

    সম্পর্কিত সংবাদ

    সর্বশেষ সংবাদ

    বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ১০

    বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে দুই বিভাগের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ১০ জন শিক্ষার্থী আহত...