More

    স্বরূপকাঠিতে তিনজন শিক্ষার্থীকে শারীরিক ও মানসিক ভাবে নির্যাতনের অভিযোগ মাসুদের বিরুদ্ধে

    অবশ্যই পরুন

    পিরোজপুরের নেছারাবাদ স্বরূপকাঠি উপজেলার বলদিয়া ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডে চামিগ্রামে মো. ফয়জুল করিম (৮) আফিফা( ৬)ও মারিয়া (৭) নামের তিনজন স্কুল ছাত্র ওছাত্রী শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে ।

     

    এতে পিটুনিতে ও একজনের হাতের কব্জিতে ইনফেকশন হয়েছে ,এবং ঘাড়ে ব্যথার আঘাত ছিদ্র আছে। ফারিয়ার পিঠের কালো কালো দাগ , মারিয়া অসুস্থবোধ করতাছে। তিন শিশুসহ গুরুতর আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। গতকাল বুধবার (১০ মার্চ২০২১) দুপুর স্বরূপকাঠি উপজেলার বলদিয়া ইউনিয়নের 2 নং ওয়ার্ডের চামি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

    এ ঘটনায় ফয়জুল করিমের বাবা বলেন, আমার ছেলে ফাইজুল করিম পশ্চিম দীনিয়া মাদ্রাসা দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্র। মাদ্রাসা থেকে ছুটির পর বাসায় যায়,যাওয়ার পর ফাইজুল করিম আফিফা ও মারিয়া তিন ভাইবোন , তারা পাশের বাড়ির মাসুদের মুরগির ফার্মে কাছে যায়।

    এবং সেখানে দেখতে পায় কাঁচা পাকা টমেটো ফাইজুল করিম ও আফিফা মারিয়া ছিঁড়ে খাচ্ছে।সেখানে ইতিমধ্যে মাসুদ গিয়ে আমার ছেলেকে বেদম মারধর করে এবং পানির ভিতরে চুবিয়ে ধরে মাথা মাসুদ বলে এখানে কেন আসছো।

    ফাইজুল করিম চিৎকার করলেও কেউ এগিয়ে আসেনি একপর্যায়ে ফাইজুল ও আফিয়া ,মারিয়া কান্নাকাটি করে আমরা এখানে আর আসব না শুধু আমরা টমেটো খেয়েছি একটা কলাগাছ আমরা ভাঙ্গি নি ভেঙে গেছে এসেই দেখি এভাবে। এই সূত্র ধরে মাসুদ তাদের শারীরিক ,ও মানসিকভাবে ,নির্যাতন করেন। আমরা সুষ্ঠু বিচার চাই এ ধরনের ঘটনা যেন আর কেউ না করে। আমার ছেলে শুধু ভয় পেয়ে আছে।

    ফারিয়া বাবা মঞ্জুন বলেন,আমার মেয়ে কখনো কারো জিনিস ধরে খায় না শুধু ওরা বাগানে গিয়েছিল,সুষ্ঠু বিচার চাই এবং আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল।

    এবং মারিয়ার মা ও তার পরিবার বলেন আমার মেয়ে মাদ্রাসা থেকে এসে বাগানে গিয়েছিল খেলতে,সেখানে দেখা যাচ্ছে পাকা টমেটো টমেটো খাওয়ার সূত্র ধরে মেয়েকে থাপ্পর চোর ও মানসিক শারীরিকভাবে নির্যাতন করেন, আমি তার সুষ্ঠু বিচার চাই।

    ।আহত ফাইজুল করিম জানায়, ওই দিন দুপুর দিকে আমি মাসুদ কাকার ফার্মের দিকে যাই, আমি ফারিয়া ও ও মারিয়া আমরা সেখানে দেখতে পাই ।পাকা টমেটো টমেটো খাওয়ার কেন্দ্র করে মাসুদ সে বলে তোরা কলাবাগানে কলাগাছ নষ্ট করছো কেন কাটছো এই বলে আমাকে মারিয়া ফারিয়াকে,চড় ,থাপ্পড় দেয়, এবং আমাকে পানির ভিতর আমাকে চুবিয়ে ধরে। এবং গলার উপরে আমাকে পা দিয়ে চাপ দিয়ে ধরে। তখন আমার সাহস করতে খুব কষ্ট হচ্ছিল আমি তখন নাড়াচাড়া কিছু করতে পারি নাই আমার পিঠে অনেক আঘাত করেছে আমার মাজায় দেখে কেটে গেছে। এবং হাতের কব্জিতে খুব ব্যথা হাত নাড়াতে কষ্ট হয় ।

    মানসিকভাবে নির্যাতন করেন এবং পানির ভিতর চার-পাঁচবার আমাদের চুবিয়ে ধরা হয়। আমি চিৎকার করলেও কেউ এগিয়ে আসেনি আমি বলতেছি আমি আর এখানে আসবো না শুধু টমেটো খেয়েছি কলাগাছ ভাঙ্গিনি।

    পশ্চিম ডুবি দারুস সুন্নাত দীনিয়া মাদ্রাসা,প্রধান শিক্ষক হেদায়েতুল্লাহ লিখিত অভিযোগ করেন, অফিসার ইনচার্জ নেছারাবাদ পিরোজপুর,দায়িত্বে আছি আমার মাদ্রাসায় তিন জন শিক্ষার্থী মোঃ ফাইজুল করিম তৃতীয় শ্রেণি, হাবিবা আক্তার দ্বিতীয় শ্রেণি, মারিয়া আক্তার দ্বিতীয় শ্রেণি,মাদ্রাসার ছুটির পর বাসায় যায় বাসায় গিয়ে বউ রেখে বাড়ির পিছনে ভিটায় যায় সেখানে মো: মাসুদের ‌ বাগানে পাশে বসে গাছে টমেটো খাচ্ছেল। সেখানে গিয়ে আমার করি এবং প্রতিবাদ জানাই সুষ্ঠু বিচার চাই।

    এলাকাবাসী সংবাদকর্মীকে লিখিত অভিযোগে বলেন, আমার ছেলে মেয়েকে বেদম মারধর করেন মাসুদ তার সুষ্ঠু বিচার চাই। আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল আপনাদের লেখনীর মাধ্যমেই মাসুদ বিচার পায় যেন এটা আমরা দাবি জানাই। এবং মানসিক শারীরিক ভাবে ওরা তিনজন খুবই অসুস্থ এই ধরনের অপকর্ম না ঘটে শেখ সেদিকে আইনের প্রতি আমরা সুষ্ঠু বিচার চাই। ইউপি সদস্য রহিমকে জানানো হলে, সে বলেন তাদেরকে চিকিৎসার জন্য,বসে দেখবো সে অপরাধ করলে অপরাধের বিচার হবে।এই ধরনের শিশু নির্যাতনের আমি নিন্দা জানাই।

    স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এলাকার লোকজন বলেন মাসুদের অপকর্ম একের পর এক বেরিয়ে গেছে,এবং যে নেক্কারজনক ঘটনা আমরা তীব্র নিন্দা জানাই যে শিশুটিকে মারধর এবং পিছানো হয়েছে তারা নাবালক তারা এখনো কিছু বোঝেনা।শুধু একটি টমেটোর জন্য একটি কলা গাছ ভাঙার জন্য যেভাবে মারধর করছে আমরা এলাকাবাসী মনে করি এ ধরনের জঘন্য অপরাধ সুষ্ঠু বিচার হওয়া দরকার। সংবাদকর্মী সরজমিনে গিয়ে জানা যায়, মাসুদের বড় ভাই কবির বলেন,করছে জানি না যদি সে ধরনের অপরাধ করেই থাকে। এই অপরাধ কি আমি তাকে ক্ষমা করতে পারব না তার আমাদের সন্তান না বুঝে একটা ট্যাবলেট খেয়েছে গাছেই ভাঙছে এধরনের কাজগুলোকে আমি ঘৃণা করি। মাসুদের মা বলেন,আমার ছেলের ঝগড়া করছে এটা আসলে ঠিক না ছোট মানুষ ওরা কিছু বুঝে না ওদেরকে পিটানো মার আসলে এটা আমাদের খুব লজ্জার বিষয়, আমি মা হিসেবে খুব লজ্জিত আমি সবার কাছে ক্ষমা চাই। এলাকাবাসীর একটাই দাবি মাসুদের অপকর্ম বা আমরা এলাকাবাসী, এলাকার সুশীল সমাজের লোকেরা বলে আইনের প্রতি আমরা শ্রদ্ধাশীল ।এই ধরনের ঘটনাকে আমরা প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাই,এমন ঘটনা যেন আমাদের এলাকার না হয় ওরা নাবালক যেভাবে শারীরিক-মানসিকভাবে নির্যাতন করেছেন এটা আসলে বিচার হওয়া দরকার।

    ফাইজুল করিমের বাবা শহিদুল ইসলাম ,নেছারাবাদ স্বরূপকাঠি থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। আমার ছেলেকে শারীরিক ও-মানসিকভাবে নির্যাতন করেন মাসুদ তার সুষ্ঠু বিচার চাই।

     

    সম্পর্কিত সংবাদ

    সর্বশেষ সংবাদ

    বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ১০

    বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে দুই বিভাগের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ১০ জন শিক্ষার্থী আহত...