ইয়াবা ব্যবসায়ী এমরানুল হকের দায়ের করা ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় জামিন পেলেন বরিশাল জমজম নার্সিং কলেজের চেয়ারম্যান, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক মাসুদুল হক (এনাম)। সোমবার বরিশাল আদালতে তার জামিন মঞ্জুর হয়।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার বরিশাল আদালতে নিয়মিত হাজিরার এক পর্যায়ে বিচারক জামিন বাতিল করে মাসুদুল হককে কারাগারে প্রেরণ করেন। তিন দিনের মাথায় অবশেষে তিনি জামিনে মুক্ত হন।
মামলার বাদীর নাম মাওলানা এমরানুল হক। তিনি কিছুদিন পূর্বে ইয়াবাসহ আটক হয়ে জেল খেটেছেন। তাছাড়া জালজালিয়াতি মামলা ও নারী নির্যাতন কোর্টে তার বিরূদ্ধে মামলা চলমান রয়েছে। সাগরদী আলিয়া মাদরাসা থেকেও প্রতারণার দায়ে তাকে চাকুরিচ্যুত করা হয়।
এদিকে মাসুদুল হকের স্বজনরা জানান, ষড়যন্ত্রমূলক এই মামলাটিতে তদন্তকারী কর্মকর্তা নানা ভাবে প্রভাবিত হয়ে একপেশে প্রতিবেদন দিয়েছে। বিষয়টি অধিকতর তদন্ত করলে সঠিক তথ্যসহ বাদীর ষড়যন্ত্রের সকল রহস্য বেড়িয়ে আসবে। মাসুদুল হক একাত্তর সালে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন। সেইমর্মে তার সেক্টর কামান্ডার কর্তৃক প্রত্যায়নপত্র আছে। তবে স্বাধীনতা অর্জনের পরে তিনি প্রায় ৪০ বছর প্রবাসে ছিলেন। ফলে সরকারী তালিকাভুক্তি কিংবা গেজেটভুক্ত হতে পারেননি। এমন একজন স্বনামধন্য ব্যক্তি প্রতিপক্ষের ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় কারাগারে যাওয়ায় সকলেই মর্মাহত। অতিদ্রুত তার মুক্তি প্রদানসহ ষড়যন্ত্রমূলক মামলা প্রত্যাহার করে এই কুচক্রী মহলের বিচার দাবী করেছেন মাসুদুল হকের স্বজনরা।