ভোলার দক্ষিণে চরফ্যাশন উপজেলার দক্ষিণ আইচা থানার চরমানিকা ইউনিয়নে চর ইসলাম, চর ফারুকীসহ বিভিন্ন চরে অজ্ঞাত রোগে প্রায় অর্ধশত মহিষের মৃত্যু হয়েছে। এখনো আক্রান্ত আছে অর্ধশতাধিক। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এসব চরে প্রায় এক থেকে দেড় হাজার গবাদিপশু রয়েছে।
স্থানীয় পশু চিকিৎসক সাঈদ সিকদার জানান, সর্দি, পেট ফোলা, মুখ দিয়ে লালা পড়া ও খাবারে অনীহা দেখা দেওয়ার ছয় থেকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রায় ৫০টি মহিষ মারা গেছে। যাদের মহিষ মারা গেছে তারা হলেন—চরমানিকা ইউনিয়নের দক্ষিণ আইচা ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বারেক হাওলাদারের একটি, চরমানিকা ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাবুল হাওলাদারের ছয়টি, মিনাল রায়ের আটটি, রবি হাজারীর তিনটি, তপন বিশ্বাসের চারটি, আলমের চারটি, কাঞ্চন মাতুব্বরের চারটি, মুনসুর মুন্সীর আটটি, দক্ষিণ চর আইচা ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাশু সর্দারের তিনটিসহ প্রায় ৫০টি মহিষ অজ্ঞাত রোগে মারা গেছে।
এরা নদী শিকস্তি পরিবার। মনপুরা ও তজুমদ্দিন এবং চরফ্যাশনের মূল ভূখণ্ড থেকে নদীভাঙনের শিকার হয়ে নতুন করে বাঁচার জন্য এরা এসব চরে আশ্রয় নিয়েছেন। এ আকস্মিক দুর্যোগ তাদের স্বপ্নকে বিলীন করে দিয়েছে।
এ ব্যাপারে চরফ্যাশন উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. আতিকুর রহমান জানান, মহিষ মারা যাওয়ার কারণ এখনো আমরা শনাক্ত করতে পারেনি, তবে আমাদের পরীক্ষানিরীক্ষা চলছে।
ভোলা জেলায় মহিষ নিয়ে কাজ করে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা গ্রামীণ জন উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক জাকির হোসেন মহিনের ধারণা, যে সমস্ত মহিষকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়নি সেগুলো হয়তো বিভিন্ন উপসর্গ নিয়ে মারা যাচ্ছে। তিনি এ ব্যাপারে প্রাণিসম্পদ বিভাগের দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানান।