করোনার এই মহা বিপর্যয়ের সময়ে শিক্ষক এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাশে দাড়িয়ে নিজের সামর্থ্য অনুযায়ী সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে মানবতার অনন্য নজির স্থাপন করেছেন কুমিল্লা উত্তর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা লিটন সরকার। তিনি আজ সোমবার ((৭জুন ২০২১) চান্দিনা সংলগ্ন দেবিদ্বারের বাগুরে অবস্থিত একটি বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আল-বারাকা কিন্ডার গার্ডেন এর ৬০,০০০ টাকা(ষাট হাজার টাকা) বকেয়া ভাড়া মওকুফ করেদেন।
তিনি (লিটন সরকার) এর আগেও করোনার প্রথম ঢেউয়ের সময়ে নিজের মালিকানাধীন ভাড়া দেওয়া দোকানের প্রায় ২ দুই লক্ষ টাকার দোকান ভাড়া মওকুফ করে দেন।
উল্লেখ্য গত ডিসেম্বরে চীনের উহান থেকে যাত্রা শুরুর পর এই মহামারি এশিয়া, ইউরোপ ও আমেরিকার বিস্তীর্ণ অঞ্চলে এর নিদারুণ থাবা বসিয়েছে। দুমড়ে-মুচড়ে দিয়েছে জনজীবন। অনেক দেশই এমন নাকাল অবস্থার মুখোমুখি হয়েছে যে, তারা শেষ আশ্রয় হিসেবে আকাশ পানে তাকিয়ে আহাজারি করতে বাধ্য হয়েছে। সময়ের পরিক্রমায় অবস্থার আপাত উত্তরণ ঘটেছে কমবেশি অনেক জায়গাতেই। নিউজিল্যান্ডের মতো কোনো কোনো দেশ তো এক পর্যায়ে নিজেদের শতভাগ করোনামুক্ত ঘোষণা করতে পেরেছে। এ ছাড়া, চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, ইরান, জার্মানি, ফ্রান্স, স্পেন, ইতালি আমাদের বাংলাদেশসহ আরও অনেক দেশই মোটামুটিভাবে এ মহামারির প্রাথমিক ধাক্কাটা কমবেশি সামলে নিতে সক্ষম হয়েছে। কিন্তু, মহামারি নিয়ন্ত্রণে লকডাউনসহ জনজীবনের ওপর যেসব নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা আরোপ করা হয়েছিল, তা শিথিল করার পর এসব দেশের অনেকগুলোতেই পুনরায় মহামারির প্রকোপ দেখা দেয়। ফলে, প্রয়োজন দেখা দেয় আবারও কড়াকড়ি আরোপের। সেই অবস্থায় এখনও ব্যবসা বানিজ্যসহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রায় অচল! সারা বিশ্বের শিক্ষা ব্যাবস্হা আজ অন লাইন ভিত্তিক শুধু এক করোনা ভাইরাসের কারনে।বন্ধ হয়ে আছে সকল প্রকার সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলো।কোন রকম করে চলছে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো।তার ই ধারাবাহিকতায় সামর্থ্য অনুযায়ী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির পাশে দাঁড়ান কুমিল্লা উত্তর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ ১০১ টিমের প্রধান সমন্বয়ক লিটন সরকার।
তিনি মনে করেন নিজ এলাকার বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো এভাবে আর্থিক সংকটের কারনে বন্ধ হয়ে পড়লে এক সময়ে বিপাকে পরবো আমরা নিজেরাই।কারন এখানে আমাদের সন্তানরাই জ্ঞান অর্জনের জন্য শিক্ষার আলো নিতে আসে আর এই আলো যদি অর্থের অভাবে বন্ধ হয়ে যায় তার জন্য একজন রাজনীতিবিদ কিংবা সমাজসেবকের একজন স্বেচ্ছাসেবী হিসাবে নিজেদের দ্বায় এড়াতে পারিনা তাই নিজ থেকে আমার এই ক্ষুদ্র প্রয়াস।
এই করোনা যোদ্ধা, মহামারির শুরু থেকে অদ্যাবধি করোনায় মৃতদের দাফন কাফন সহ অসহায়দের আর্থিকভাবে সহযোগিতা করে মানবতার অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করে ইতিমধ্যেই জনগণের ভালোবাসায় সিক্ত হয়েছেন। তিনি আগুনে পুড়ে যাওয়া ক্ষতিগ্রস্তদের ঘর তৈরি করতে আর্থিক অনুদান, কৃষকদের ধান কেটে মারাই করে দেওয়া থেকে শুরু করে সর্বক্ষেত্রে অবদান রেখে চলেছেন।
জানতে চাইলে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যার স্বপ্ন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মানে একজন নগণ্য কর্মী হিসেবে মানুষের সেবা করতে পারছি এটা আমার জন্য অত্যান্ত গর্বের।
আমরা বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ, সেবা শান্তি প্রগতি এই স্লোগান নিয়ে জনগণের জন্য কাজ করাই আমাদের লক্ষ্য ও উদ্যেশ্যে। তিনি বলেন, আমার অনুপ্রেরণা বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি জননেতা নির্মল রঞ্জন গুহ এবং সাধারণ সম্পাদক জনাব আফজালুর রহমান বাবু ।