আগৈলঝাড়া প্রতিনিধিঃ বরিশালের আগৈলঝাড়ায় বিয়ে করে বৌ বাড়িতে আনলেও বাসর রাত করতে
পারেনি ইরান-নার্গিস দম্পত্তি। বিয়ের দিনে দায়ের করা মামলার আসামী হয়ে পালিয়ে বেরাচ্ছে নববিবাহিতা যুবক। এ ঘটনায় ওই পরিবারসহ এলাকায় লোকজনের মাঝে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
সরেজমিন গিয়ে ভুক্তভোগী পরিবারের সাথে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলার বাগধা ইউনিয়নের বাগধা গ্রামে অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক আব্দুল খালেক খানের ছেলে ইরান খান পাশ্ববর্তী আমবৌলা গ্রামের মোক্তার আলী মৃধার মেয়ে নার্গিস খানমকে বিয়ে করে সোমবার সন্ধ্যায় বাড়ি নিয়ে আসেন। ওই বিয়ের বরযাত্রী ছিলেন ইরানের বড় বোন জামাতা বরিশাল জেলা উত্তর যুবদলের যুগ্ন-আহবায়ক আবুল মোল্লা।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, আবুল মোল্লা বাগধা ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারন সম্পাদক এমদাদুল খানের সাথে বাগধা পশ্চিমপাড় বাজারে বসে কথা বলেন। এ কারনে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা এমদাদুলকে মারধর করেন ওয়ার্ড যুবলীগ সাধারন সম্পাদক মশিউর রহমান তালুকদার। এ ঘটনা জানতে পেরে যুবদল নেতা আবুল মোল্লা ওই বাজারে গিয়ে এমদাদুলকে মারধরের কথা মশিউরকে জিজ্ঞাসা করেন।
জানা যায়, এ কারনে পরে স্থানীয় আওয়ামীলীগের ৩০-৪০জন নেতা-কর্মীরা যুবদল নেতা আবুল মোল্লার শ্বশুর বাড়ি (বিয়ে বাড়ি) গিয়ে তাকে খুজতে থাকেন এবং তারা পুলিশকে সংবাদ দেন। এ সময় আবুল মোল্লা শ্বশুর বাড়ি থেকে গোপনে পালিয়ে যায়। পুলিশ ওই রাতেই যুবদল ও ছাত্রদলের তিন নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেন।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত করে আগৈলঝাড়া থানায় মামলা দায়ের করেন। ওই মামলার এজাহার নামীয়
আসামীর নববিবাহিতা ইরান খান ও তার ভাই মিরান খান। সোমবার রাতে নববিবাহিতা ইরান খান-নার্গিস দম্পত্তির বাসর রাত হওয়ার কথা ছিল। মামলার কারনে সেই বাসর রাত পন্ড হয়ে গেছে তাদের। দুই ভাই ইরান
ও মিরান গ্রেপ্তার আতংকে পালিয়ে বেরাচ্ছে।
নববিবাহিত কনে নার্গিস খানম কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, আমার স্বামী ইরান খানকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির কারনে বাসর রাত করতে পারিনি আমরা। আমি পুলিশ প্রশাসনের কাছে ন্যায় বিচার চাচ্ছি।
এব্যাপারে থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাজহারুল ইসলাম বলেন, মারামারির ঘটনায় মামলা হয়েছে। এজাহার নামীয় তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামলার কোন আসামী বিয়ে করেছে তা আমাদের জানা নেই।
বরিশাল নিউজ/স্ব/খ