বরগুনা জেলার পাথরঘাটা উপেজলায় গত কয়েক বছর ধরে পাথরঘাটা সাব-রেজিস্ট্রার অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিজস্ব সিষ্টেমে চলে আসছে অফিসিয়াল কার্যক্রম। এতে ভোগান্তিতে পরেছেন সাধারণ জনগণ।
এ অভিযোগের সত্যতা জানতে গতকাল রোববার (২৯ জানুয়ারী) দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে সরেজমিনে পাথরঘাটা সাব-রেজিস্ট্রার অফিসে গেলে সেখানে কর্মরত কোনো কর্মকর্তা বা কর্মচারীদের পাওয়া যায়নি। তারা সকলেই নিজস্ব কাজের ব্যস্ততা নিয়ে ছুটিতে রয়েছেন। আর এ ছুটির ব্যাপারে কিছুই জানেন না স্বয়ং পাথরঘাটা সাব-রেজিস্ট্রার অফিসের প্রধান আসিফুল হক শোভন।
এতে সুষ্পষ্ট ভাবেই বোঝা যায় তারা সরকারি নিয়ম নীতিমালাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে আসছেন। পরে দুপুর আড়াইটার দিকে সাব-রেজিস্ট্রার অফিস সহাকারী নাজমা বেগমকে তার মোবাইলে কল দিয়ে আসার কথা বললে তিনি তড়িঘড়ি করে অফিসে আসেন। তার কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমাদের সরকারী রুলস অনুযায়ী অফিস টাইম সকাল ৯ টা থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত। তার সাথে সাংবাদিকের কথার ফাঁকে একজন ব্যক্তি এসে অনেক হয়রানীর পর তার কাজটি সম্পন্ন করে নেন।
এসময় আরো কয়েকজন ভুক্তভোগী জানান, কত বছর এভাবে আমরা হয়রানীর শিকার হবো বলতে পারেন।
এরপর অফিস সহাকারী নাজমা বেগম বলেন, মোহরার আকতার জাহান রুমি, মোহরার ফিরোজা, টিসি মোহরার আসমা আকতার ও অফিস সহায়ক মোঃ আসলাম হোসেন সবাই ছুটিতে রয়েছেন। এই ছুটিতে থাকা সবার ছুটি সোমবার অফিসে এসে মঞ্জুর করবেন সাব-রেজিস্ট্রার আসিফুল হক শোভন স্যার। কথার শেষ ভাগে তিনি এ ঘটনা কাউকে না জানাতে কিছু টাকা সাংবাদিকদের হাতে গুঁজে দিতে চেষ্টা করেও ব্যার্থ হন।
এ ব্যাপারে পাথরঘাটা সাব-রেজিস্ট্রার আসিফুল হক শোভন জানান, অফিসে কে আছেন বা না আছেন আমি জানিনা। ছুটি সোমবার মঞ্জুর করার প্রশ্নই আসেনা। তবে পাথরঘাটায় সোম-মঙ্গল ও বুধবার দলিল রেজিস্ট্রি হয়। তাছাড়া রবি ও বৃহষ্পতিবার স্বাভাবিক ভাবে অফিস চলে।
এ ঘটনায় বরগুনা ডিস্ট্রিক্ট রেজিস্ট্রার (ডি আর) জানান, পেছনের ছুটি সামনের দিনে কিভাবে মঞ্জুর করবেন সেটা আমার বোধগম্য নয়। বিষয়টি আমি ক্ষতিয়ে দেখবো।
রাসেল মাহমুদ বরগুনা:
বরিশাল ডট নিউজ/স্ব/খ