বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তিসহ ১০ দফা দাবিতে ঝালকাঠিতে বিএনপির ইউনিয়ন পর্যায়ের গণমিছিলে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের ওপর পুলিশের বাধা ও হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টায় সদর উপজেলার নবগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন বাজার থেকে ইউনিয়ন বিএনপির নেতাকর্মীরা মিছিল বের করে।
মিছিলটি শহরের দিকে যাওয়ার পথে পুলিশ বাধা দেয়। বিএনপি নেতাদের অভিযোগ, পুলিশ নেতা-কর্মীদের কাছ থেকে ব্যানার কেড়ে নিয়েছে।
পুলিশ জনতার মিছিলে বাধা দিলে ইউনিয়ন বিএনপির নেতাকর্মীরা নবগ্রাম বাজার এলাকায় সমাবেশ করেছে। বক্তব্য রাখেন ঝালকাঠি জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সেক্রেটারি সরদার মো. সাফায়াত হোসেন, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আরিফুর রহমান খান, ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি তাপস তালুকদার, সাধারণ সম্পাদক সরদার মো: শহিদুল ইসলাম, জেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আনিসুর রহমান পান্নু, শহিদুল ইসলাম নয়ন প্রমুখ।
এদিকে সদর উপজেলার নথুল্লাবাদ ইউনিয়নের মালিবাড়ি ব্রিজ এলাকা থেকে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ইউনিয়ন বিএনপি। এ সময় আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের নেতা-কর্মীরা মিছিল নিয়ে তাদের ওপর হামলা চালায়। এতে ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মীর আহসান কবির, যুগ্ম সম্পাদক শেখ লাভলু ও কৃষকদল নেতা লুৎফর রহমান মোল্লাসহ ৯ জন আহত হয়েছেন।
অপরদিকে সদর উপজেলার কেওড়া ইউনিয়নে বিএনপির পদযাত্রায় হামলা করেছে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। এতে কেওড়া ইউনিয়ন শ্রমিক দলের সভাপতি মাহাতাব হোসেন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে চারজনকে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ঝালকাঠি জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মো. শাহাদাত হোসেন জানান, জেলার ৩২টি ইউনিয়নে বিএনপির জনসভার কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে। বিভিন্ন স্থানে আওয়ামী লীগ ও পুলিশের হামলা। আহত হয়েছেন ১০ নেতাকর্মী।
নথুল্লাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন সরদার বলেন, আওয়ামী লীগ যখন শান্তি সমাবেশ করে, তখন বিএনপিও মিছিল করে। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। খোদ বিএনপির লোকজন মাথা ফাটিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।