More

    এক নজরে মো. সাহাবুদ্দিন

    অবশ্যই পরুন

    মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন চুপ্পু দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি। সাবেক দায়রা জজ সাহাবুদ্দিন চুপ্পু আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ছিলেন।

    রোববার (১২ ফেব্রুয়ারি) সকালে আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে তার পক্ষে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া হয়।

    চলুন জেনে নিই সাহাবুদ্দিন চুপ্পুরের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি।

    মোঃ সাহাবুদ্দিন চুপ্পুর ১৯৪৯ সালে পাবনা শহরের জুবিলী ট্যাংকপাড়ায় (শিবরামপুর) জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম শরফুদ্দিন আনসারী এবং মাতার নাম খায়রুন্নেসা। তিনি পাবনার এডওয়ার্ড কলেজ থেকে 1966 সালে এসএসসি, ১৯৬৮সালে এইচএসসি এবং ১৯৭১সালে (১৯৭২ সালে পরিচালিত) বিএসসি পাস করেন। পরে তিনি ১৯৭৪ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মনোবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর এবং ১৯৭৫ সালে পাবনা শহীদ অ্যাডভোকেট আমিনউদ্দিন আইন কলেজ থেকে এলএলবি ডিগ্রি লাভ করেন।

    ছাত্রজীবনে তিনি পাবনা জেলা ছাত্রলীগের একজন সক্রিয় কর্মী ও সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণকারী সাহাবুদ্দিন চুপ্পু ১৯৮২ সালে বিসিএস (জুডিশিয়াল) ক্যাডারে যোগদান করেন। ২৫ বছর বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালনের পর ২০০৬ সালে জেলা ও দায়রা জজ হিসেবে অবসর গ্রহণ করেন।

    ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় আসার পরপরই আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা হয়। যাতে ঘটে খুন, ধর্ষণ ও লুটপাট। পরে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এলে সাহাবুদ্দিন চুপ্পুকে প্রধান করে ওই ঘটনা তদন্তে একটি কমিশন গঠন করে।

    ২০১১ থেকে ২০১৬সাল পর্যন্ত সাহাবুদ্দিন চুপ্পু দুর্নীতি দমন কমিশনের কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সাহাবুদ্দিন চুপ্পু ১৯৯৫ ও ১৯৯৬ সালে পরপর দুবার বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় কমিটির মহাসচিব নির্বাচিত হন। পেশাগত জীবনের প্রথম দিকে তিনি সাংবাদিকতাও করেন। তিনি পাবনা প্রেসক্লাব ও অন্নদা গোবিন্দ পাবলিক লাইব্রেরির আজীবন সদস্য।

    সাহাবুদ্দিন চুপ্পু, যিনি দুদক কমিশনার থাকাকালীন বিশ্বব্যাংকের কথিত পদ্মা সেতু দুর্নীতির অভিযোগের তদন্তে অন্যতম প্রধান ভূমিকা পালন করেছিলেন, তিনি অভিযোগগুলি মিথ্যা এবং খালি প্রমাণ করতে সক্ষম হন। তার তদন্ত প্রতিবেদন কানাডার আদালত বহাল রেখেছে।

    ১৯৭২ সালের ১৬ নভেম্বর পাবনা শহরের দিলালপুরের বাসিন্দা আলী আক্তারের বড় মেয়ে মো. রেবেকা সুলতানাকে বিয়ে করেন সাহাবুদ্দিন চুপ্পু। ড. রেবেকা সুলতানা বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারে যোগদান করেন এবং ২০০৯ সালে যুগ্ম সচিব হিসেবে অবসর গ্রহণ করেন। তিনি বর্তমানে প্রাইম এশিয়া ইউনিভার্সিটির হিউম্যান রিসার্চ প্রোগ্রাম বিভাগের একজন অধ্যাপক এবং ফ্রেন্ডস ফর চিলড্রেন অর্গানাইজেশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান। চুপ্পু-রেবেকা দম্পতির একমাত্র সন্তান। আরশাদ আদনান (রনি) বর্তমানে দেশে-বিদেশে উচ্চতর ডিগ্রি নিয়ে প্রাইম ব্যাংকে উচ্চপদে কর্মরত আছেন।

    সম্পর্কিত সংবাদ

    সর্বশেষ সংবাদ

    গণমাধ্যম কর্মী রিফাত হোসেন (জামাল) অসুস্থ, সোহরাওয়ার্দী মেডিকেলে ভর্তি

    গণমাধ্যম কর্মী রিফাত হোসেন (জামাল) বেশ কিছুদিন ধরে লিভারজনিত জ্বরসহ নানা শারীরিক সমস্যায় ভুগছেন। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে...