বৃহস্পতিবার (১০ ডিসেম্বর) থেকে বরিশালে প্রথমবারের মতো তিন দিনব্যাপী আঞ্চলিক ইজতেমা শুরু হচ্ছে।
ইজতেমায় অংশ নিতে বুধবার সকাল থেকেই বিভিন্ন স্থান থেকে দলে দলে মুসল্লিরা ইজতেমা মাঠে আসতে শুরু করেন।
এদিকে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ইজতেমা অনুষ্ঠানের জন্য বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ (বিএমপি) বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে এবং পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে।
বৃহস্পতিবার ফজরের নামাজের পর আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হবে ইজতেমা। শনিবার সকাল ১১টায় আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হবে ইজতেমা।
আয়োজক সূত্রে জানা গেছে, বুধবার সকাল থেকেই বরিশাল জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে মুসল্লিরা ইজতেমা মাঠে আসছেন। ইতিমধ্যে ইন্দোনেশিয়া, ইয়েমেন, সিরিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা ও ভারত থেকে ৪৫ জন বিদেশি বরিশালে হাজির হয়েছেন।
নগরীর ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের নবগ্রাম রোডের পাশে প্রায় ১০ একর জমিতে এ ইজতেমার আয়োজন করা হয়েছে।
এই ইজতেমায় প্রায় ৫০ হাজার মুসল্লি একসঙ্গে ঘুমান এবং দেড় থেকে দুই লাখ মুসল্লি একসঙ্গে শোনেন। এ ছাড়া একসঙ্গে ৫ হাজার মানুষের ওযু ও গোসলের ব্যবস্থা রয়েছে।
সিটি করপোরেশন ইজতেমা মাঠের উন্নয়ন, বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ, স্যানিটেশন ও বর্জ্য অপসারণের কাজ করেছে।
এ ছাড়া জেলা সিভিল সার্জন ও সিটি করপোরেশনের স্বাস্থ্য বিভাগসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান ইজতেমায় আগত মুসল্লিদের স্বাস্থ্যসেবা দিতে আগ্রহ দেখিয়েছে বলে জানিয়েছেন সিটি করপোরেশনের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হাবিবুর রহমান টিপু।
ইজতেমার নিরাপত্তায় র্যাব ও পুলিশ সব ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছে। এ লক্ষ্যে ইজতেমা ময়দানে একটি কন্ট্রোল রুম ও ওয়াচ টাওয়ার স্থাপনসহ তিন স্তরের সার্বক্ষণিক নজরদারি ব্যবস্থা ঘোষণা করেছে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ।