আজ ০১ মার্চ ২০২৩ বুধবার সকাল ১০টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে ভূমিহীনদের খাস জমি বন্দোবস্ত দেওয়া ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বৃদ্ধি রোধে গণসংহতি আন্দোলন বরিশাল জেলার বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন বরিশাল জেলার সহ সভাপতি হাছিব আহমেদের সঞ্চালনায় সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন গণসংহতি আন্দোলন বরিশাল জেলা কমিটির আহ্বায়ক জননেতা দেওয়ান আবদুর রশিদ নীলু। বক্তব্য রাখেন গণসংহতি আন্দোলন বরিশাল জেলা সদস্য সচিব আরিফুর রহমান মিরাজ , সদস্য ইয়াসমিন সুলতানা, ছাত্র ফেডারেশন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক জামান কবির, সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন গণতন্ত্র মঞ্চ ও ভাসানী অনুসারী পরিষদ বরিশাল জেলার নেতা আব্দুল মান্নান।
এসময় নেতৃবৃন্দ বলেন, “দেশে নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধিতে জনগনের জীবনে নাভিশ্বাস উঠেছে। শ্রমজীবী মানুষের আয় বাড়েনি কিন্তু ব্যয় বেড়েছে প্রায় দ্বিগুন। এই পরিস্থিতিতে স্বল্প আয়ের মানুষের জীবন দূর্বিষহ হয়ে গেছে। তারা এর থেকে পরিত্রাণ চায়। সুপরিকল্পিত ভাবেই সরকার সিন্ডিকেটের কাছে আত্মসমার্পন করেছেন। । তারা সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হয়ে নানান অযুহাত দিচ্ছে। কিন্তু জনগণ আসল ঘটনা জানে। লুটপাট ও সীমাহীন দূর্নীতির মাধ্যমে সরকার জনগণকে আজ বিপদে ফেলেছে। সরকারের দুর্নীতি ও লুটপাটের দায় জনগণ নেবে না। বরিশালের শ্রমজীবী পরিবারগুলো দ্রব্যমূল্যের দাম কমানো, সিন্ডিকেট হটাও এবং ভুমিহীনদের খাস জমির দাবিতে দীর্ঘদিন আন্দোলন করছে। সংবিধানে খাসজমির মালিকানা ভূমিহীনদের দেওয়া হয়েছে। এসকল দাবি না মানা হলে শ্রমজীবীদের নিয়ে অচিরেই দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে”।
নেতৃবৃন্দ বলেন, “করোনার পরবর্তী দেশের সকল মানুষে অর্থনৈতিকভাবে সংকটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। ঠিক এই সময়ে ভাসমান শ্রমজীবীদের জন্য সরকারের যে ব্যবস্থা গ্রহন করার কথা ছিল তারা তা না করে বরং দূর্বল বাজার মনিটরিং এর মাধ্যমে জনগনের জীবনকে আরো সংকটের দিকে ঠেলে দিয়েছে। সকল ধরনের জ্বালানী খরচ বৃদ্ধির প্রতিবাদে আমরা বারবার প্রতিবাদ করেছি। কিন্তু দুর্নীতিবাজ সরকার কর্ণপাত করছে না। যার ফলে জ্বালানির সাথে সম্পর্কিত সকল পণ্যের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। ঘন্টায় ২০ টাকা শ্রম বিক্রি করে শ্রমিকদের বেঁচে থাকা সম্ভব নয়। অবিলম্বে সরকারকে সকল নাগরিকদের রেশনিং এর আওতায় আনতে হবে। জ্বালানি সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম কমাতে না পারলে দ্রুত পদত্যাগ করার দাবি করেন”।
বরিশাল অশ্বিনী কুমার হল চত্ত্বরে সমাবেশ শেষে মিছিল নিয়ে জেলাপ্রশাসকের কার্যালয়ে গিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ শেষ হয়