কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ছাত্রী ফুলপরী খাতুনকে নির্যাতনের ঘটনায় অভিযুক্ত পাঁচ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করেছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। বুধবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বহিষ্কৃত পাঁচ শিক্ষার্থী হলেন, ইবি ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সানজিদা চৌধুরী অন্তরা, অর্থ ও ব্যাংকিং বিভাগের ছাত্রলীগ কর্মী তাবাসসুম ইসলাম, আইন বিভাগের একই শিক্ষাবর্ষের ইসরাত জাহান মীম, চারুকলা বিভাগের হালিমা খাতুন উর্মি ও মোয়াবিয়া। অর্থ ও ব্যাংকিং বিভাগের। অন্তরা বাদে সবাই .২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।
ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সাংগঠনিক, শৃঙ্খলাবিরোধী, অপরাধমূলক ও অসম্মানজনক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে তাদের ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদের জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এদিকে ফুলপরী খাতুনকে নির্যাতনের ঘটনায় অভিযুক্ত পাঁচ ছাত্রীকে বহিষ্কারের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের প্রভোস্টকে অপসারণের নির্দেশ দেওয়া হয়। এ সংক্রান্ত এক আবেদনের শুনানি নিয়ে বুধবার বিচারপতি জেবিএম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
বিচারিক প্রতিবেদনের আদেশে বলা হয়, আগামী তিন দিনের মধ্যে যে কোনো সময় ভিকটিম শিক্ষার্থীকে আসন বরাদ্দ দিতে হবে। এক্ষেত্রে শিক্ষার্থী তার পছন্দের যেকোনো আসন বেছে নিতে পারবে। একই সঙ্গে বহিষ্কৃত পাঁচ শিক্ষার্থী কোনো ধরনের একাডেমিক কার্যক্রমে অংশ নিতে পারবে না।
উল্লেখ্য, গত ১২ ফেব্রুয়ারি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতীয় রত্ন শেখ হাসিনা হলের কমনরুমে এক ছাত্রীকে আটক করে রাতভর নির্যাতন করা হয়। ভুক্তভোগী ছাত্রী জানান, ওই দিন ছাত্রলীগ নেত্রী সানজিদা চৌধুরী অন্তরার অনুসারীরা তাকে উলঙ্গ করে, ভিডিও ধারণ, গালিগালাজ এবং ঘটনা কাউকে বললে হত্যার হুমকি দেয়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন। প্রশাসন, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও হাইকোর্টের নির্দেশে জেলা প্রশাসনের গঠিত কমিটি বিষয়টি তদন্ত করে