মিরপুরের উইকেটে যেকোনো রানই চ্যালেঞ্জিং। সেটা প্রমাণ করতে পারলেও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে জিততে পারেনি বাংলাদেশ। তাইজুল-মিরাজের স্পিনে ইংলিশ ব্যাটসম্যানদের বেহাল দশা থাকলেও এক প্রান্তে দাঁড়িয়ে ছিলেন ডেভিড মালান। তাকে বিভ্রান্ত করতে না পেরে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে বাংলাদেশ হেরেছে ৩ উইকেটে।
বুধবার শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ। অধিনায়ক তামিমের সাবলীল ব্যাটিং কথা বলে। কিন্তু লিটন দাস ৪.৫ ওভারে ৭ রান দিয়ে ফিরে গেলে ৩৩ রানে ভাঙে উদ্বোধনী জুটি। এরপর মিছিল হয়। ১০৬ রানে চতুর্থ উইকেট হারানোর পর বাংলাদেশ ৪৭.২ ওভারে ১০৯রানে গুটিয়ে যায়।
তিন র্যাঙ্কের নাজমুল শান্ত ও ছয় নম্বরে থাকা মাহমুদউল্লাহ মিলে গড়েন ৫৩ রানের জুটি। এটাই ম্যাচের সেরা জুটি। দুজনই দলের পক্ষে সর্বোচ্চ রান করেন। বাঁহাতি ব্যাটসম্যান ৮২ বলে ছয়টি চারের সাহায্যে ক্যারিয়ার সেরা ৫৮ রান করেন। ৪৮ বলে ৩১ রান করে ফেরেন মাহমুদউল্লাহ। এছাড়া তামিম ২৩ ও মুশফিক ১৬ রান করেন।
জবাবে প্রথম ওভারেই উইকেট হারায় ইংল্যান্ড। ওপেনার জেসন রয় ৪ রান করে সাকিবের বলে তামিমের হাতে ক্যাচ দেন। অন্য বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ওপেনার ফিল সল্ট (১২) এবং জেসন ভিন্সকে (৬) চার রানে তুলে নেন। ব্যক্তিগত ৯ রানে তাসকিনের থ্রাস্ট বলে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন জস বাটলার। দলের রান তখন ৪ উইকেটে ৬৫।
দলের বিপদের এক প্রান্তে দাঁড়িয়ে ছিলেন নামা মালান। উইল জ্যাক (২৬) তার সঙ্গে একটি ছোট জুটি ফিরে. মঈন আলীও ফিরেছেন (১৪)। কিন্তু মালান ১৪৫ বলে ১০৯ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলে জয়ী হন। তার ইনিংস থেকে এসেছে চারটি ছক্কা ও আটটি চার। টেন্ডার আদিল রশিদের ১৭ রানের ইনিংসও দলের জয়ে দারুণ অবদান রাখে।
বাংলাদেশের হয়ে দারুণ স্পেল খেলেছেন তাসকিন আহমেদ। তিনি মাত্র একটি উইকেট পেলেও ৯ ওভারে দিয়েছেন মাত্র ২৬ রান। প্রায় সাত মাস পর ওয়ানডে খেলতে আসা তাইজুল ১০ ওভারে ৫৪ রান দিয়ে তিন উইকেট নেন। মিরাজও ছিল দারুণ। ১০ ওভারে ৩৫ রান দিয়ে দুটি উইকেট নেন তিনি। সাকিব নেন একটি উইকেট। তবে ৮ ওভারে ৪২ রান দিয়ে কোনো উইকেট পাননি মুস্তাফিজ। ইংল্যান্ডের পক্ষে পেসার জোফরা আর্চার ও মার্ক উড এবং স্পিনার আদিল রশিদ ও মঈন আলী নেন দুটি করে উইকেট।