তারা বর্তমান টি-টোয়েন্টি বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন। বাংলাদেশ-ইংল্যান্ড এর আগে বিশ ওভারের ক্রিকেটে মাত্র একটি ম্যাচ খেলেছে। এই ফরম্যাটে দুই দলের দ্বিতীয় বৈঠকে টাইগারদের সামনে শুধু উড়ে গেল ইংলিশরা। দুই ওভার বাকি থাকতেই বাটলার বাহিনীকে ৬ উইকেটে পরাজিত করেন সাকিব। তিন ম্যাচের সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল লাল-সবুজ জার্সিধারীরা। সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচটি হবে ১২ মার্চ মিরপুরে।
বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫১ রান করেন শান্ত। মাত্র ৩০ বলে এই রান করেন তিনি। এছাড়া তৌহিদ হৃদয় ২৪ ও রনি তালুকদার ২১ রান করেন। বাংলাদেশের জয়ের ভিত গড়ে দেন শান্ত-চিন্তার এই জুটি। মাত্র ৩৯ বলে ৬৫ রান করেন এই জুটি। এরপর সাকিব-আফিফের ব্যাটে জয় নিশ্চিত করে বাংলাদেশ।
টাইগারদের দুর্দান্ত বোলিংয়ে ইংলিশ রানার্সের চাকা বেঁধে দিতে পেরেছে বাংলাদেশ। ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৫৬ রানে থামে ইংল্যান্ড। ১৫৭ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে রনি-লিটনে উড়ন্ত সূচনা করে স্বাগতিকরা। কিন্তু সেই ঝড় বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। আদিল রশিদের গুগলিতে ১৪ বলে ২১ রান করে ফেরেন রনি। এরপর আর টিকতে পারেননি লিটন। আর্চারের স্লোয়ার বল খেলতে গিয়ে ওকসের তালুতে ধরা পড়েন তিনি। ফেরার আগে ১০ বলে ১২ রান করেন লিটন। আর্চারের স্লোয়ার বল খেলতে গিয়ে ওকসের তালুতে ধরা পড়েন তিনি। ফেরার আগে ১০ বলে ১২ রান করেন লিটন।
পাওয়ারপ্লেতে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৫৪ রান। পাওয়ারপ্লে শেষে মার্ক উডকে বোলিং করার জন্য নিয়ে আসেন বাটলার। উডকে পাওয়ার পর, তিনি প্রথম চার বলে চারটি বাউন্ডারি মেরে এক ওভারে 17 রান করেন। ১১তম ওভারে দলীয় শতরান করে বাংলাদেশ। পরের ওভারে মঈনের বলে সিঙ্গেল নিয়ে ফিফটি পূর্ণ করেন নাজমুল। তার ফিফটি আসে মাত্র ২৭ বলে।
শান্তর ফিফটির পর সাজঘরে ফিরেছেন তৌহিদ হৃদয়। মঈনের বলে ক্যারেনের হাতে ধরা পড়ার আগে ১৭ বলে ২৪ রান করেন হৃদয়। নাজমুলের সঙ্গে হৃদয়ের জুটিতে ৩৯ বলে ৬৫ রান। পরের ওভারে শান্ত উডের ১৪৬ কিমি গতির বলে বোল্ড হন। ফেরার আগে ৩০ বলে ৫১ রান করেন তিনি। আফিফকে নিয়ে বাকি পথটা শেষ করেন সাকিব। এই দুই ব্যাটারের ৪৬ রানের জুটির ওপর ভর করেই জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ দল। ১৩ রানে অপরাজিত থাকেন আফিফ।
এর আগে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে উড়ন্ত সূচনা করেন ফিল সল্ট ও জস বাটলার। ফিল সল্টকে ফিরিয়ে ৮০ রানের এই জুটি ভাঙেন নাসুম আহমেদ। ৩৫ বলে ৩৮ রান করে উইকেটের পেছনে লিটন দাসের হাতে ধরা পড়েন সল্ট। এরপর ডেভিড মালানকে (৪) ফেরত পাঠান সাকিব আল হাসান।
বেন ডাকেট এবং জস বাটলার দলের নেতৃত্ব দিতে থাকেন। দলের ১৩৫ রানের এই জুটি ভাঙেন মুস্তাফিজুর রহমান। ১৩ বলে ২০রান করা ডাকেট ফিজের বলে বোল্ড হন। পরের ওভারে শান্তর বলে হাসানের হাতে ক্যাচ দিলেও ফিরে যান বাটলার। ৪২ বলে চারটি ছক্কা ও চারে ৬৭ রান করেন ইংলিশ অধিনায়ক। তারপর পরবর্তী ব্যাটাররা মিছিলে যোগ দেয়। স্যাম কারেন, ক্রিস ওকস একজন করে ফেরেন। দুই অঙ্কে রান করতে পারেননি কেউই।
বাংলাদেশের পক্ষে দুই উইকেট নেন হাসান মাহমুদ। এছাড়া সাকিব আল হাসান, তাসকিন আহমেদ, মুস্তাফিজুর রহমান একটি করে উইকেট নেন।