স্টাফ রিপোর্টারঃআজ বাংলাদেশের ধর্মপ্রান মুসলমানদের পবিত্র মাহে রমজান মাসের রোজার প্রথম দিন। ইফতারের আগ মুহুর্তে বরিশালের হোটেল ও রেস্তোরাঁয় ইফতার সামগ্রী কিনতে ক্রেতাদের ভীর লক্ষকরা গেছে।
নগরীর অধিকাংশ খাবার হোটেল রেস্তোরা গুলোতে বিভিন্ন ধরনের ইফতার সামগ্রীর পসরা সাজিয়ে বসেছে। ক্রেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণই ছিল বিক্রেতার লক্ষ ।

বরিশাল নগরীর বগুড়া রোডস্থ্য বাবুল হোটেল এন্ড রেস্তোরায় বিকেল ৪ টার দিকে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় ইফতার সামগ্রী তৈরীতে তারা ব্যাস্ত সময় পার করছে। এই ব্যাস্ততার কারন হিসেবে জানায় আর মাত্র দের ঘন্টা পর ইফতার। ক্রেতাদের ভীর জমবে তাই ইফতার সামগ্রী তৈরীতে তারা ব্যাস্ত।
হোটেল ম্যানেজার হোসনেয়ারা বেগম জানায়, তাদের দোকানে আগে ৮ জন কর্মী ছিল। রমজান মাসের ইফতারির জন্য আরো ২ জন কর্মী বাড়িয়েছি। এখন প্রতিদিন ১০ জন কর্মী কাজ করছে।
তিনি জানায় গতবছর ষ্টাফদের বেতন ঘরভাড়া আনুসাঙ্গীক খরচ মিলে লাভ করতে পারেননি। তবে এবছর বেচাকেনা ভালো হবে বলে প্রত্যশা করছেন। তার রেস্তোরায় ছোলাবুট….১০০ গ্রাম ২০ টাকা,বেগুনি-৫ টাকা,আলুর চপ,পিয়াজু প্রতি পিচ-৫ টাকা, চিকেন মাশালা পিচ ১ শত টাকা,চিকেন ফ্রাই প্রতি পিচ-৪০ টাকা, জালি কাবাব প্রতি পিচ ৪০ টাকা,টিক্কা ২০ টাকা,কিনেন স্যানডোয়েজ ৩০ টাকা,চিকেন রোল-৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

তবে বেচাকেনা ভালো হলে ইফতার আইটেম বাড়ানো হবে।
নগরীর সামর্থ্যবান ও বিত্তবানদের ভীর ছিল শহরের রয়েল,নাজেম্স, কস্তুরীর মত অভিযাত রেস্তোরাঁয়।
বরিশালের বহুল পরিচিত নাজেম’স রেস্তোরাঁয়
এবছর বিভিন্ন ধরনের ইফতার সামগ্রীর বিক্রি হচ্ছে..যার মধ্যে রয়েছে
আলুর চপ ১০ টাকা, পিয়াজু ১০ টাকা,
চিকেন কাবাব ২০ টাকা,চিকেন পুলি ২৫ টাকা, ডিম চপ ২৫ টাকা,ফিরনী ৩৫/-, ১৫০/-, ৩০০ টাকা,শাহি জৰ্দ্দা (প্রতি কেজি) ৩০০ টাকা, বোরহানী (হাফ লিটার) ১২০ টাকা,চিকেন ফাই ১২০ টাকা, জিলাপি কেজি ২৫০ টাকা, চিকেন ফ্রাই ১২০ টাকা,
ছোলা বুট (প্রতি কেজি)১৫০ টাকা। এছাড়াও রয়েছে, তেহারী ,মোরগ পোলাউ,
কাচ্চি বিরিয়ানি, বাসমতি কাচ্চি বিরিয়ানি, হালিম, মুরগী মোসাল্লাম (সাথে ২ পরাটা), গরুর কালো ভূনা।
এছাড়াও নগরীর বিভিন্ন পাড়া মহল্লায় রাস্তার পাশে চেয়ার টেবিল পেতে ইফতার বিক্রি করতে দেখা গেছে অনেককে।
নিম্নমধ্য বিত্তদের অনেককেই রাস্তার পাশের ও মহল্লার দোকান থেকে ইফতার কিনতে দেখা গেছে
